ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কলেজে অন্তর্বর্তী মনিটরিং কমিটি গড়তে হবে। সেই কমিটির সদস্যরাও স্নাতকস্তরের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডাক্তারি পড়ুয়া বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার দ্বারা মনোনীত হতে হবে। সদস্যরা শুধুমাত্র মনোনীত হলে ‘থ্রেট কালচার’ ফিরে আসতে পারে, আশঙ্কিত জুনিয়ররা। সোমবার বিকেলে নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি জানালেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্য়ে অন্যতম ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। শনিবার অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, “পরের বার সব মেডিক্যাল কলেজে একেবারে ভোট হোক আমি চাই। সামনে কালীপুজো, ভাইফোঁটা আছে। তোমাদের পরীক্ষা আছে। ৩-৪ মাস সময় দাও, করিয়ে দেব। এটা নিয়েও আদালতে মামলা করেছে কেউ। আদালত আমার হাতে নেই।” এদিনও নবান্নের বৈঠকের সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে একাধিকবার। এখনই ভোট সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনে নিয়ে পালটা দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্রভোট না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীনভাবে মনিটরিং কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন কিঞ্জল-অনিকেত-দেবাশিসরা। তবে সেখানে যে সদস্যরা থাকবেন তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠের (স্নাতকস্তর ডাক্তারি পড়ুয়া এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের) জনমত নিয়ে মনোনীত হবেন। কেন তাঁরা সাধারণ মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কমিটির সদস্যদের বাছাই করতে রাজি নন, তারও ব্যাখ্যা দেন জুনিয়ররা।