প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য স্মৃতিসৌধ, শর্মিষ্ঠাকে চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্র। স্মৃতিসৌধের জন্য নয়াদিল্লির রাজঘাটে জমি চিহ্নিত করল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কন্যাকে চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে ধন্যবাদ জানালেন প্রণবের মেয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। গত ২৬ ডিসেম্বর দিল্লির এমস হাসপাতালে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মননোহন সিংহ। এরপর তাঁর সমাধি মন্দির তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। সরকার আগে কোনও একটি জমি চিহ্নিত করুক। সেই জমিতে দাহ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সে দাবি মানেনি। সরকারের তরফে কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, মনমোহনের জন্য স্মৃতিসৌধ হবে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল বিজেপি সরকার সম্মান দেখাছেনা। পাল্টা তোপ দেখেছিলেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি- এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এই মন্তব্য কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি সঙ্গে মতাদর্শগত ফারাক ছিল প্রণবের। কিন্তু একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিসরে বহু নেতার বিজেপির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল। যা কংগ্রেসের অন্দরে অনেক রাজনীতিকদের অপছন্দের ছিল। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। ইন্দিরা গান্ধীর জমানা থেকে শুরু করে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার জমানায় দীর্ঘদিন নিজের দক্ষ বিচক্ষণতা দিয়ে দায়িত্ব সামলেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বধীন সব মন্ত্রিসভায় প্রণব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। তাঁর দূর্দশিতা দিয়ে কঠিন থেকে কঠিন সময় পার করেছেন। পরবর্তীতে কংগ্রেসের অভিভাবক হিসেবেও থেকেছেন। তাঁর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের বিরোধিতা করাও কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হবে। এবার নয়াদিল্লিতে তাঁর স্মৃতিসৌধর জন্য জমিও বরাদ্দ করল। সরকারের থেকে চিঠি পেয়ে মঙ্গলবার সাউথ ব্লকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন প্রণবের মেয়ে শর্মিষ্ঠা। পরে টুইটে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ বানাবে। এ খবর জানার পর প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। আরও বড় আনন্দের বিষয় হল, এর জন্য আমরা কোনও আবেদন জানাইনি। প্রধানমন্ত্রীর এই উদারতা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। শর্মিষ্ঠার কথায়, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান কখনও চাওয়া উচিত নয়, তা প্রাপ্য হলে নিজেই এসে পৌঁছাবে। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানিয়েছেন।”