জেলা

নেই নিষেধাজ্ঞা! রঙের উৎসবে মেতেছে শান্তিনিকেতন

২০২০ সালের পর থেকে নানা কারণে রঙের উৎসবে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালেও শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর ছাত্র-শিক্ষক ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়েছে। এবারও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর তরফে ১১ মার্চ নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করবে। যেখানে শুধুমাত্র ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিকে এখন রতনপল্লি, সোনাঝুরির হাট, শ্যামবাটী, জামবুনি, চেনা অচেনা বহু জায়গাতেই বসন্ত উৎসব পালিত হয়। তবে, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা ছিল এই বছর সেখানে আয়োজিত করা যাবে না বসন্ত উৎসব। দোল পূর্ণিমার দিন সেখানে পর্যটক ও স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার থাকলেও রঙ খেলা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এর মধ্যেই রঙের উৎসবে মেতেছে শান্তিনিকেতন। সোনাঝুরিতে বসন্তোৎসব উপলক্ষে সকাল থেকে ভিড় করেন আট থেকে আশি, সববয়সের মানুষজন। রাজ্যবাসীর পাশাপাশি জমজমাট দোলখেলায় অংশ নেন বিদেশি পর্যটকরাও।  বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। আজ রঙের উৎসব। আবিরে-রঙে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার পালা। সবার রঙে রং মেশানোর দিন। নাচে-গানে রঙিন আনন্দে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। দোল উপলক্ষে দিনভর নানা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রং খেলা যাবে না বলে বনদফতরের দেওয়া নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বীরভূম জেলা পুলিশ পরিকল্পনা করে সোনাঝুরিতে বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তারপরেই বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে বিরোধী দলনেতার সেই অভিযোগ খারিজ করে জানানো হয়, সোনাঝুরিতে বসন্ত উৎসব ও হোলি উদযাপনে কোনও বাধা নেই। গত সপ্তাহেই শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে বনদফতরের তরফে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ব্যানার। বসন্ত উৎসবে সোনাঝুরির সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রং খেলা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় বনদফতর। কিন্তু তাতেও লেগেছে ধর্মের রং। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “গোটা বাংলা জেনে গেছে এখানে হোলির উৎসব বন্ধ করার জন্য কাজ করছে পুলিশ। বলছে বিশেষ মাস এটা। এই মাসে আপনারা বেশি হোলি খেলবেন না। আর শুক্রবার। যেখানে যেখানে হোলি, দোল খেলবেন, সব ১০টার মধ্যে শেষ করে দিন। এটা কোন রাজ্যে আছি আমরা? এখানে কি শরিয়ত আইন চলে? এখানে সংবিধান চলে। যে যার ধর্ম পালনের অধিকার বাবা সাহেব আম্বেদকর সবাইকে দিয়েছেন।” পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক ও বনমন্ত্রী বলেন, “পরিবেশ রক্ষার জন্য বন্ধ করতে বলেছিলাম। বিজেপি এটাকে ধর্মীয় রঙ লাগিয়ে নোংরামি করছে।”