জেলা

স্বাস্থ্যসাথীতে নাম তুলেছেন ৮ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ, জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য 

রাজ্যের প্রায় 9 কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায় রয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা পেতে কখনও সমস্যায় পড়তে হলে, গ্রাহকদের এর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি ৷ বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প ঘিরে আলোচনা । রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী । শহরের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথীর গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম হলেও, গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল । জবাবে রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২ কোটি ৪৪ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পে নথিভুক্ত । যার ফলে ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছেন । তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লক্ষ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন এবং এই খাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৬৯৪.৬৪ কোটি টাকা । পূর্ববর্তী বছরগুলিতেও ব্যয় ধাপে ধাপে বেড়েছিল ৷ ২০২১-২২ সালে ২২৬৩ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ সালে ২৬৩০ কোটি টাকা এবং ২০২৩-24 অর্থবর্ষে সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে 2694.64 কোটি টাকা । বর্তমানে ২৯১৪টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে নথিভুক্ত । তবে, বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে । স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী বিধায়করা এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন । এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে একটি নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে, যেখানে 24×7 অভিযোগ জানানো যায় । যদি কোনও নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে, তাহলে এই নম্বরে ফোন করলেই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে । স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত অভিযোগ নতুন নয় । অতীতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পরিষেবা দিতে অনুরোধ করেছেন । কখনও নরমভাবে, কখনও কড়া ভাষায় তিনি পরিষেবা প্রদানের উপর জোর দিয়েছেন । সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনও অভিযোগ না থাকলেও, এখনও বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা না মেলার অভিযোগ শোনা যায় ৷ এ ব্যাপারে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷