জেলা

মালদার বামনগোলায় আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে মালদার বামনগোলা ব্লকের এক প্রত্যন্ত গ্রাম ৷ ওই তরুণীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের পর অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করে বামনগোলা থানার পুলিশ ৷ বুধবার রাতের এই ঘটনায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায় ৷ বৃহস্পতিবার ধৃত তরুণকে মালদা জেলা আদালতের সম্মতিক্রমে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ৷ এদিন বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতিতা ওই তরুণীও ৷ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বামনগোলা থানার তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ বামনগোলা থানার এক আধিকারিক জানান, “অভিযোগ পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ তাকে জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল ৷ বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ওই তরুণীও আজ বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন ৷ তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে তার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি ৷” নির্যাতিতা তরুণীর বয়স ১৯ বছর ৷ অভিযুক্ত তরুণের বয়স ২৬ বছর ৷ একই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দু’টি গ্রামে তাঁদের বাড়ি ৷ ওই তরুণীর পরিবার অত্যন্ত গরিব ৷ বাবা ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ এখনও ভিনরাজ্যে কাজে রয়েছেন তিনি ৷ মায়ের সঙ্গে তরুণী একাই বাড়িতে থাকতেন ৷ তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ৷ অন্যদিকে, অভিযুক্ত তরুণের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো ৷ নিজেদের কিছু কৃষিজমিও রয়েছে ৷ তবে ওই তরুণ কোনও কাজকর্ম করেন না বলেই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ৷ নির্যাতিতার বক্তব্য, “গতকাল রাতে মা গ্রামের একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন ৷ আমি বাড়িতে একা ছিলাম ৷ সেই সময় ওই তরুণ আচমকা আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে ৷ প্রথমে ভাবতে পারিনি, ও আমার সঙ্গে এমন কাজ করবে ৷ আমি চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা টিপে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ৷ ভয়ে আমি আর আওয়াজ করতে পারিনি ৷” এই ঘটনার কথা গ্রামের মাতব্বরদের জানান নির্যাতিতার মা ৷ সবার পরামর্শে রাতেই তিনি বামনগোলা থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ ৷ রাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই তরুণকে ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিন তাকে জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷