দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে চলছে চরম বিতর্ক। যার ফলে উত্তপ্ত দেশ। এরই মাঝে খবর এল বেঙ্গালুরুতে ইতিমধ্যে তৈরী ডিটেনশন সেন্টার। কর্ণাটকের সন্দেকপ্পা গ্রামে তৈরী করা হয়েছে ক্যাম্প। চারিদিক কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা, নিরাপত্তার জন্য দুদিকে দুটি টাওয়ার। বিল্ডিংটি ‘এল’ আকারে তৈরী। যাতে মোট ১৫ টি ঘর। ১ জানুয়ারি থেকে এগুলি খুলে দেওয়া হবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। বিষয়টি সাংঘাতিক হলেও এটাই সত্যি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-র খবর অনুযায়ী বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৩০ কি.মি দূরে তৈরী হয়ে গেছে ডিটেনশন সেন্টার। সন্দেকপ্পা গ্রামের এই ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছে সাতটি ঘর, রান্নঘর ও শৌচালয় মিলিয়ে মোট ১৫ টি ঘর। শুধু তাই নয় অনুপ্রবেশকারীদের পাশাপাশি তাদের তদারকির জন্য সরকারি কর্মীদের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। ডিটেনশন সেন্টার যারা তৈরী করছেন সেই কর্মীরাও ওখানেই আপাতত বসবাস করছে। শেষমুহূর্তের কিছু কাজ সেরেই খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি। সিসিটিভি লাগানো বাকি রয়েছে। গৃহমন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে কর্ণাটক সরকার তৈরী করে ফেলেছে ডিটেনশন সেন্টার। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার নির্দেশ আসে। তারপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। জানা গেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখানে একটি হোস্টেল ছিল। যা এখন পরিণত হয়েছে ডিটেনশন সেন্টারে। কোনো ।নাগরিক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রমাণিত হলে তাঁকে এই সেন্টারে নিয়ে রাখা হবে। গত ৯ ডিসেম্বর সরকার জানিয়ে দেয় ২০২০-র মধ্যেই তৈরী করে ফেলবেন ডিটেনশন সেন্টার। নতুন বছরে করা হবে এর উদ্বোধন। গত ২০১৮ অগাস্ট মাসে ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশ তাদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ক্যাম্প খুলে দিতে হবে। সেখানে থাকবে ওয়ার্ডেন থেকে রান্নার লোক ও অন্যান্য কাজের লোক।