এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলছেন উপত্যকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে তাহলে নেতারা এখনও আটক কেন?
একের পর এক রাজ্যে ভরাডুবি হচ্ছে বিজেপি-র। এই পরিস্থিতিতে আর দলের ও সরকারের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য পদক্ষেপ শুরু করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীর থেকে ৭২ কোম্পানি সেনা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং কাশ্মীর থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭ হাজার সেনাকর্মীকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর অজুহাত হিসাবে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনার পরেই এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবিলম্বে কাশ্মীর থেকে ৭০০০ আধাসামরিক বাহিনী তিনি সরিয়ে নিতে বলেছেন। গত আগস্ট মাসে কেন্দ্র যখন কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এই অতিরিক্ত বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে, তা সামাল দেওয়ার জন্যই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে ছিল। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা এবং অমর আবদুল্লার মতো রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়। এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলছেন উপত্যকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে তাহলে নেতারা এখনও আটক কেন?


