হক জাফর ইমাম, মালদাঃ বৈশাখের গরম থেকে রেহাই পেতে একমাত্র ভরসা কচি ডাবের জল। মালদা শহরের বিভিন্ন কচি ডাবের দোকানে প্রচুর পুরুষ মহিলা ও ও বাচ্চা খরিদ্দারের ভিড় কচি ডাব কিনে খাওয়ার উদ্দেশ্যে। কচি ডাবের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা যা সামনে বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবু গরম থেকে রেহাই পেতে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কচি ডাব কিনে খেতে হচ্ছে বলে জানান দীপা সাহা।খাতায়-কলমে এটা এপ্রিল মাস বাংলার বৈশাখ মাস গরমের জ্বালায় ঘরবন্দী হয়ে থাকলে চলবে না। অফিস-বাজার সবই করতে হবে। আবার মোকাবিলাও করতে হবে গরমের।গরম মোকাবিলায় সবচেয়ে ফলদায়ী হল পানীয় জল। তার মধ্যেও সবচেয়ে উপকারী কচি ডাবের জল। গরম সংক্রান্ত বেশিরভাগ অসুখও প্রতিরোধ করতে ডাবের জলের জুরি মেলা ভার। ডাবের জল
থেকে আমরা কী কী উপকার পেয়ে থাকি যেমন ১) গরমে শরীর ডি-হাইড্রেট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এই সমস্যার সমাধান হবে ডাবের জলে। সোডিয়াম-পটাসিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে ডাবের জল। ২) ডাবের জলে থাকে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশায়াম। যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ৩) এছাড়া ডায়বেটিক রোগীদর জন্য খুবই ভাল এই জল। রক্তে চিনির পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। ৪) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ডাবের জলে। ফলে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ৫) ডাবের জলে সুগার কনটেন্ট হয় খুব কম। এছাড়াও এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে ওজন তমাতে সাহায্য করে ডাবের জল। ৬) ডাবের জলে রয়েছে ডাই-উইরেটিক উপাদান। যা মূত্রনালীর সংক্রমণের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। মালদা শহরের কচি ডাব ব্যবসায়ী অনিল মন্ডল জানান বর্তমানে মালদা শহরে গরমের মাত্রা অনেক বেশি তাই বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ কচি ডাবের উপরেই ভরসা করছেন। সামনের বছরের তুলনায় এই বছর ডাবের কেনা দাম বেশি পড়াই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।