কেন্দ্রীয় দফতরের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশনের ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন
কে তৈরি করেছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ জানেই না সরকার! অথচ প্রচারে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা প্রতিটি নির্দেশিকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ রয়েছে। করোনা মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কেন্দ্র বারবার এই অ্যাপ ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। আরোগ্য সেতুর ওয়েবসাইটে লেখা, অ্যাপটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার এবং কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। এই দুই বিভাগের কাছে আরটিআই করে সেকথাই জানতে চাওয়া হয়েছিল। দু’টি বিভাগই অস্বীকার করেছে। জানিয়েছে, তারা অ্যাপটি তৈরি করেনি। তাহলে তৈরি করল কে? সেই নিয়েই ধন্দ। কেন্দ্রীয় দফতরের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশনের ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় করা প্রশ্নের দায়সারা এবং প্রতারণামূলক উত্তর দেওয়ার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছে তিন অফিসারকে সাময়িকভাবে। আরটিআই–এর শীর্ষ কর্তা নোটিসে লিখেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে অস্বীকার করলে তা মানা যায় না।’ আরও অভিযোগ, ‘চিফ পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারদের মধ্যে কেউই বলতে পারেননি, এই অ্যাপ কে তৈরি করেছে। ফাইলগুলো কোথায়। খুবই হতাশজনক।’ ওই বিভাগগুলিকে ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে হাজিরা দিতে হবে। সমাজকর্মী সৌরভ দাস আরোগ্য সেতু সংক্রান্ত ধন্দ নিয়ে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আরটিআই করে এই অ্যাপ সম্বন্ধে কোনও তথ্য মিলছে না। তার পরেই নড়চড়ে বসে তথ্য কমিশন। করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে নানা তথ্য দেয় আরোগ্য সেতু অ্যাপ। আশপাশে কোথাও করোনা রোগী রয়েছে কি না, তা জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্র সরকার। এমনকী, ওই অ্যাপটি ট্রেনে এবং বিমানে সফরের সময় মোবাইলে থাকা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।