ভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, দল নিয়ে সন্তুষ্ট নন শুভেন্দুবাবু ৷ বারবার কথার প্যাঁচে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷ আজ ফের নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণসভায় নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন তিনি ৷ গোকুলনগর হাইস্কুলের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “খুব ভালো লাগছে । ১৩ বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে । খুব ভালো লাগছে ।” এই ভাষাতেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে দলকে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুভেন্দুবাবু এই মন্তব্য তৃণমূলের পৃথক শহিদ দিবসকে খোঁচা দিয়ে করেছেন । প্রতিবছরের মতো শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এবারও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ১০ নভেম্বর শহিদ স্মরণ সভার আয়োজন করে । ২০০৭ এর রক্তাক্ত সূর্যোদয় কাণ্ডের স্মরণে প্রতিবারই সভার আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি । তাতে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা হাজির থাকলেও দলীয় কোনও সংযোগই থাকত না । কিন্তু ১৩ তম বছরে এই কর্মসূচিতে নতুন মাত্রা জুগিয়েছে তৃণমূলের শহিদ সভার কর্মসূচি । নন্দীগ্রামে যার প্রচলন এই প্রথম । আজ, বিকেলেই নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় ফিরহাদ হাকিমসহ একগুচ্ছ নেতার উপস্থিতিতে সংগঠিত হয় তৃণমূলের শহিদ সভা । তার আগেই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ স্মরণের মঞ্চে সেই কর্মসূচিকে আকারে-ইঙ্গিতে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী । বললেন, “খুব ভালো লাগছে ১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে । খুব ভালো লাগছে । ৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো ? ভোটের আগে আসছেন । ভোটের পরেও তো আসতে হবে ।” ভাষণ শেষ করার সময় তাঁর মুখে শোনা যায়, ‘‘ জয় বাংলা, ভারতমাতা জিন্দাবাদ ৷’’