জেলা

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতেই বিজেপির যোগদান পর্ব ভেসতে গেল, কর্মীদের বিক্ষোভে এলাকা ত্যাগ

 কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতেই বিজেপির যোগদান পর্ব মাঠে মারা গেল। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে কার্যত বন্ধ হয়ে গেল যোগদান পর্ব। পুরাতন মালদহ পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের ওয়ার্ড কডিনেটরকে বিজেপিতে যোগদান মেনে নিতে পারেননি পুরনো কর্মীরা। সেই কর্মী বিক্ষোভের জেরেই যোগদান পর্ব স্থগিত ঘোষণা করেন দলীয় নেতৃত্ব।পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে সভা থেকে মাঝপথেই এলাকা ছাড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বিজেপির একাধিক পদস্থ নেতা। শনিবার সন্ধ্যায় পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ী পালপাড়া ধানহাটিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীর চায়-পে চর্চার কর্মসূচি ছিল। উপস্থিতি দেখে বেশ ভালো মেজাজেই ছিলেন বিজেপির নেতৃত্ব। সুষ্ঠু ভাবেই চলছিল কর্মসূচি। উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু মাইকে ঘোষণা করেন, পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নৃপেন পাল যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এরপর তাঁর হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেওয়ার আগেই উপস্থিত কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়ায়। তৃণমূলের ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর নৃপেন পালকে বিজেপিতে যোগদান করানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোলমাল বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন উপস্থিত মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। কিন্তু এরপরেও দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চায় পে চর্চা ভণ্ডুল হয়ে যায়। ওই এলাকারই বিজেপির কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাঁরা দাবি তোলেন, ওই দুর্নীতিগ্রস্ত কাউন্সিলরকে দলে কোনমতেই নেওয়া যাবে না। অবশেষে বিজেপির নেতা তথা উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক শ্যামচাঁদ ঘোষ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাতে মাইক্রোফোন ধরে এই যোগদান পর্ব স্থগিত রাখেন।