জেলা

প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফেলা হয়েছিল গঙ্গার ঘাটে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রহস্যভেদ করল পুলিশ

পরকীয়ার জের । প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে বস্তায় ভরে গঙ্গার ঘাটে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে । মৃতের স্ত্রী পিঙ্কি গুপ্তা ও তার প্রেমিক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্তে নামে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহ হলুদ রঙের বস্তায় ভরা হয়েছিল। ওই এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই রহস্যভেদ করে পুলিশ। সেই সিসিটিভির সূত্র ঘরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরকিয়ার জেরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে মৃত ব্যক্তির নাম বছর পঁয়তাল্লিশের শ্রবন গুপ্তা। মৃতের ছবি গোলাবাড়ি এলাকায় দেখাতেই চিহ্নিত করেন এলাকার বাসিন্দারা। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি নর্থ অনুপম সিং জানান, শ্রবণ গুপ্তার স্ত্রী পিঙ্কি দেবীর সঙ্গে এক বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা অমন সিংয়ের। দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এটা জানতে পারলে শ্রবণ গুপ্তার সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়। তখনই অমন ও পিঙ্কি খুনের ছক কষে। নিজের বাড়ির মধ্যেই শ্বাসরোধ করে শ্রবণ গুপ্তাকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন ছাড়াও তাদের সাহায্য করেছিল পিঙ্কির মেয়েও। ভেবেছিল বস্তায় ভরে মৃতদেহ গঙ্গার ঘাটে রেখে এলে তা জলে ভেসে যাবে। কিন্তু গঙ্গায় ভাটা পড়ে যাওয়ায় সেটা হয়নি। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভিতে দেখা যায়, 1 জানুয়ারি রাত 12টা নাগাদ একটি বাইক হলুদ রঙের ভারী বস্তা নিয়ে চালপট্টি ঘাটের দিকে যাচ্ছে । এরপর বাইক যেদিক থেকে এসেছিল সেদিকের রাস্তার সব সিসিটিভি খতিয়ে দেখে হয় ৷ তাতে দেখা যায়, মালিপাচঁঘরা থানার ঘুসুরি কুলি লাইনের কাছ থেকে বাইকটি আসে । রবিবার সকালে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ ও মালিপাচঁঘরা থানার পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে মৃত ব্যক্তির ছবি দেখাতেই সনাক্ত করা সম্ভব হয় দেহ । পুলিশ জানতে পারে, কুলি লাইন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মৃত শ্রবণ গুপ্তা । এরপর ওই ব্যক্তির বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রহস্যের সমাধান হয় ।