জেলা

উন্নয়নকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে ১০ গোলে হারানোর চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

আজ রঘুনাথপুরের জনসভা থেকে ‘উন্নয়ন’কে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘উন্নয়নের হিসেব হোক, দশ গোলে হারাব।’ আজ পুরুলিয়ার একদিনে তিন-তিনটি জনসভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সভা রঘুনাথপুর থেকেই ঝাঁজ বাড়িয়ে তুললেন তিনি। উনিশের লোকসভায় জঙ্গলমহলে ঘাসফুল কার্যত সাফ করে দিয়ে চার জেলাতেই পদ্ম ফুটেছে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও সাংসদ হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। সে কথা উল্লেখ করে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘জঙ্গলমহলে সব বিজেপির সাংসদ। কিন্তু বলুন তো ৪ জনের মধ্যে একজনকেও কি বিপদে পাশে পেয়েছেন? পাননি। পাশে দাঁড়িয়েছেন সেই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা। তাই শপথ নিন, বিজেপিকে এখান থেকে উত্‍খাত করতে হবে। আপনারা রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউড়িকে ভোট দিয়ে জেতান। অনেক সুবিধা পাবেন।’ এরপরই তিনি উন্নয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতার কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের উন্নয়ন আর গত ৭ বছরে মোদির উন্নয়ন, এই তুলনা হোক। বিজেপিকে ১০ গোলে হারিয়ে দেব।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘ভাঙা পা নিয়েই তৃণমূলনেত্রী নেমেছেন। ভাঙা পায়েই যুদ্ধ হবে। জয় ছিনিয়ে আনব আমরা। একথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। মমতাকে যতই আক্রমণ করুণ না কেন, তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না। গলা কেটে দিলেও বশ্যতা স্বীকার করবেন না।’ ‘যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি’, স্লোগানও দেন অভিষেক। BJP-র জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও এদিন সোচ্চার হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, ”আমরা স্বামীজির গেরুয়া রঙে বিশ্বাস করি। যোগী আদিত্যনাথের গেরুয়া রঙকে বিশ্বাস করি না।’বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানেন না বলেও এদিন সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, ভোটের ফল বেরোনোর পর বহিরাগতরা লখনউ এক্সপ্রেস, ভোপাল এক্সপ্রেসে করে চলে যাবেন। জ্বালানির দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, ‘দেখুন আজ কী অবস্থা। বিজেপি-কে ভোট দিলে কী হয় দেখুন। হঠকারী জনবিরোধী সিদ্ধান্তের জন্য ভারত অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।’