গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় কৃষক মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের নেতা অখিলকে। তখন অসম উত্তাল সিএএ বিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলার নাগাড়ে অবনতি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জোরহাট থেকে অখিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অসমের নাগরিক সমাজ দীর্ঘ সময় ধরে গগৈয়ের মুক্তির দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। অসম বিধানসভা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে রাইজোর দল। আরেক আঞ্চলিক দল এজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে অখিল একটি চিঠি লিখেছেন জেল থেকে। সেখানেই এনআইএ’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। অখিলের দাবি, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালতের অনুমতি ছাড়াই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এনআইএ’র সদর দপ্তরে প্রবল অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। একথা জানিয়ে অখিল লিখেছেন, ”এনআইএ’র সদর দপ্তরে আমাকে এক নম্বর লকআপে আটকে রাখা হয়েছিল। একটা মাত্র নোংরা কম্বল দেওয়া হয়েছিল। ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মেঝেতে ঘুমতে হয়েছিল। আমি এই অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদ করার পরে ওরা অন্য একটা প্রস্তাব দিল। আমাকে জানানো হয়েছিল বিজেপিতে যোগ দিলে আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারব। মন্ত্রীও হতে পারব।” অখিল জানাচ্ছেন, তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও আরেক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে বলা হয়েছিল তাঁকে। ওদের প্রস্তাবে রাজি না হই তাহলে জেলেই আমাকে পচে মরতে হবে। এরপরই তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাদের প্রস্তাব না মানলে অন্তত ১০ বছরের জন্য জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু সেই প্রস্তাবেও রাজি হননি অখিল। নিজের সেই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অখিলের দাবি, ”প্রবল শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মুখে পড়ে আমি সেই রাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”