বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪জন। পুলিশ সূত্রের খবর, মিছিলকারীরা হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা আড়াইটা থেকে মাদ্রাসার সামনে ছাত্ররা অবরোধ করে। এতে হাটহাজারী-নাজিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংঘর্ষে নিহতরা হল- কুমিল্লার মহম্মদ রবিউল ইসলাম, মাদারীপুরের মহম্মদ মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মহম্মদ আবদুল্লা মিজান এবং হাটহাজারির মহম্মদ জসিম। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, হাটহাজারিতে গুলিবিদ্ধ ৮-৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “নিহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মাদ্রাসা ছাত্র এবং ১ জন পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আহতরা। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।”প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারি দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে হঠাৎ হাটহাজারি থানা, ভূমি অফিস, ডাকবাংলো-সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর হেফাজত নেতাকর্মীরা মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। হাটহাজারিতে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারি সার্কেল) শাহাদাত হোসেন বলেন, “হঠাৎ থানায় হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।”