কলকাতা

প্রকাশ হল উচ্চমাধ্যমিকে ফল, মেধাতালিকায় ১৩৭ জন

আজ সকাল ১০টায় এবারের উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন মহুয়া দে। এবছর মেধাতালিকায় রয়েছে ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী। প্রথম ১০ জনের মধ্যে আছে ৩৫ জন। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে ৯৯.‌৬ শতাংশ পেয়ে যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্র। বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মন্ডল এবং কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের রাজর্ষি বর্মন। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮।
৯৯.‌২ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে বিধাননগর গভর্নমেন্ট স্কুলের সংযুক্তা বসু, পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুল বলাইচন্দ্র বিদ্যাপীঠের তন্ময় মাইকাপ, কোচবিহারের দিনহাটা হাইস্কুলের স্বর্ণদীপ সাহা, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ঋতম নাথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের মহম্মদ মাসুম আখতার এবং কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের অনাতপ মিত্র। তাদের সবারই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। মেয়েদের মধ্যে প্রথম সংযুক্তা বসু।  তৃতীয় হয়েছে হুগলির নবগ্রাম হীরালাল বালিকা বিদ্যালয়ের বর্ণালি ঘোষ, মাহেশের রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের সুপ্রিয় শীল, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা খাঁটুরা হাইস্কুলের মৃণ্ময় মন্ডল। এদের সবার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ নম্বর।  ৪৯২ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা বাঁকুড়া জেলা হাইস্কুলের রাকেশ দে, কলাবিভাগে প্রথম হয়েছে। ৪৮৬ নম্বর যুগ্মভাবে দশম স্থানে থাকা কমল সাহা এবং কোমল সিং বাণিজ্যে যুগ্ম প্রথম। এবছর উচ্চমাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা, শেষ হয়েছিল ১৩ মার্চ। ৭৪ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল। কোনও ফলই অসমাপ্ত নয়। মোট ৫১টি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল। ইংরেজি ছাড়া হিন্দিতেও প্রশ্নপত্র হয়েছিল। মোট পরীক্ষার্থী ৭৭৭২৬৬ জন। এবার ৬.‌২৬ শতাংশ বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত। মোট পাসের হার ৮৬.‌২৯ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮৭.‌৪৪ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫.‌৩ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের পাসের হার ৮১.‌৫৫ শতাংশ। তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের মধ্যে পাসের হার ৮০.‌৪৫ শতাংশ। উর্দুতে পাসের হার ৯৪.‌২ শতাংশ। নেপালি ভাষায় পাসের হার ৯৪ শতাংশ এবং সাঁওতালি ভাষায় পাসের হার ৯১.‌৪ শতাংশ। জেলাভিত্তিক ফলের মধ্যে প্রথম চারটি সেরা জেলা হল পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কালিম্পং।