নিবেদিতা শেঠঃ বাতাসে ছড়াচ্ছে করোনা। চারিদিকে এমনটাই লক্ষণ নজরে আসছে। ঘরে বসে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে মানুষ।
ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি গবেষকদের, বাতাসেই বাহিত হচ্ছে মারণ ভাইরাস।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেন সুনামির ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে এবার। দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত তোলপাড়। প্রতিদিন হাজারের বেশি মৃত্যুর খবর। করোনার গ্রাসে আর কত প্রাণ শেষ হয়ে যাবে, কেউ জানি না আমরা! দেশে দৈনিক সংক্রমণে মাথায় হাত চিকিৎসকদের। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানার মতো বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে সংক্রমণ রুখতে নাইট কারফিউ কিংবা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে প্রশাসন, সেখানে শুধুমাত্র নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বাংলা সে পথে হাঁটতে নারাজ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত তবু ভোট আট দফাতেই হোক। সিদ্ধান্তে অনড়। এদিকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারের গণ্ডি পেরোলো বলে। বাজারে ওষুধ অপ্রতুল,পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও নেই শোনা যাচ্ছে। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও কতটা সম্ভব হবে তার ঠিক নেই। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেলাগাম করোনা পরিস্থিতিতে দিশাহারা চিকিৎসকরা। তবে শুধু এরাজ্যের চিত্রই এতটা করুণ নয়। গোটা দেশে চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। মহারাষ্ট্রে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটছে, লখনউ-এ কোন এক শশ্মানে জ্বলছে সারি সারি চিতা। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে দিওয়ালি মানানো হচ্ছে। কোথাও মৃতের স্তূপে উপছে পড়ছে কবর। দিকে দিকে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য, তবু ঘুম উড়েছে কী ওদের? কেউ কী ভাবছে দেশে এক অশনি সংকেত বইছে? কোন পরিণাম দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সব? এখনও শক্ত হাতে সিদ্ধান্ত না নিলে মারণ ভাইরাসের থাবায় মৃত্যুপুরী হয়ে যাবে যে দেশটা! ভিন দেশে ভ্যাকসিন বিলিয়ে মহানুভবতার নাম কেনার আগে দেশবাসীর প্রতি একটু সদয় হতে পারতো তো!