গত ৭ তারিখ কোভিশিল্ড নিয়েছেন শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড়ের বাসিন্দা নেপাল চক্রবর্তী। আর শনিবার থেকে তাঁর শরীরে চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়েছে! ফলে যেকোনও ধাতব জিনিস আটকে থাকছে সেই দেহে। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করে গবেষকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছেন ভক্তিনগরের এক ব্যক্তি। তবে শুধু শিলিগুড়ি নয়, দিন দুয়েক আগে একই দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের অরবিন্দ সোনার। সংবাদমাধ্যমকে অরবিন্দবাবু বলেছেন, ‘কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পর থেকেই তাঁর শরীরে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়। ধাতব জিনিস আটকে যায় দেহে। নড়াচড়া করলেও খসে পড়ে না চামচ, হাতা, কয়েন কিংবা থালা।‘ একই ছবি শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড়ের বাসিন্দা নেপাল চক্রবর্তীর । এই ঘটনার পর স্পষ্টতই কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সরব নাসিক এবং শিলিগুড়ির দুই পরিবার। যদিও এখনই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। এমনটাই জানান চিকিৎসকরা। তাঁদের মন্তব্য, ‘কোভিশিল্ড হিউম্যান ট্রায়ালের সময় এই ধরণের কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। এখন খতিয়ে দেখতে হবে কেন ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গেই এমনটা হল।‘ দেশে প্রচুর মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭-১০ জনের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটলে সত্যি সেটা বিরল থেকে বিরলতম। সেভাবেই গবেষকদের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে হইচইয়ের কোনও কারণ নেই। তাতে টিকাকরণ নিয়ে ভুল বার্তা যাবে।