২১শে জুলাই-এর আগের রাতে এবার তৃণমূল নেতাকে গুলি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাবড়া থানার হাটথুবা ঘোষ পাড়া এলাকায়। যদিও, তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলেও। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ওই তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছডায় এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। জানা গিয়েছে, ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন বেশকিছু বিজেপি কর্মী। আর তাই হাবড়া থানার হাটথুবা ঘোষ পাড়া এলাকায় হাবরা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক চলছিল। জানা যায়, বৈঠকের মধ্যেই তৃণমূল নেতা রাজীব সরকারের ফোন করার দরকার পড়ে। তিনি তখন ফোন নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় কথা বলতে বলতে হাঁটতে থাকেন। ঠিক ওই সময় উল্টো দিকের মাঠ থেকে এক যুবক কোমর থেকে রিভলবার বার করে নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি করে, বলে অভিযোগ। যদিও, ওই যুবক কোমর থেকে পিস্তল বার করছে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে ঘরের ভিতর ঢুকে যায় ওই তৃণমূল নেতা। যার ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাবড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার জানান, তিনি ফোনে কথা বলছিলেন সেই সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। একুশে জুলাই উপলক্ষে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করার কথা বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এই নিয়ে বৈঠক চলছিল এবং এই গুলি করার পেছনে বিজেপির মদত রয়েছে, বলে অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দলের নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, ”তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এ ধরনের ঘটনা। এর সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।”