দেশ

‘২ দিন পর ইস্তফা দেব’, জেল থেকে বেরিয়ে বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দীর্ঘিদন জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তিনি। তিহাড় থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রবিবার বড় ঘোষণা করলেন তিনি। এ দিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘোষণা, ‘আগামী দু’দিনের মধ্যে পদত্যাগ করব। মানুষের রায়ে যদি নির্বাচিত হই, তবেই ফিরব।’ নভেম্বরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন করানো হোক বলেও উল্লেখ করেছেন কেজরিওয়াল। রবিবার দিল্লিতে আম আদমি পার্টির কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রত্যেক বাড়িতে যাব, দরজায় দরজায় পৌঁছব। মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আচমকা নেওয়া এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কেন আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর? ব্যাখ্যা দিয়ে আপ সুপ্রিমো বলেন, ‘আদালত জামিন দিয়েছে। এই মামলা চলবে। আইনজীবীদের বললাম, আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। কিন্তু ওঁরা বললেন, মামলা ১০, ১৫, ২০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। আদালত যা করতে পারত করেছে। যে আইনে জামিন হয় না, সেই আইনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। কিন্তু আজ আমি জনতার আদালতে এসেছি। আপনারা বলুন, আপনারা আমাকে দোষী মনে করেন না নির্দোষ? কেজরিওয়াল সৎ না অসৎ?’ কেজরিওয়াল জানান, তাঁর পরিবর্তে আপাতত দলের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন না বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য এখন আপনাদের হাতে।’