কলকাতা

কলকাতায় কেন ৩ হাজার কোটির স্বামীজি বা নেতাজির মূর্তি হবে না? এঁরা মুখে বিবেকানন্দ বলে, মনে মনে বলে ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ্ব: অভিষেক

‘এদের মুখে রাম-কর্মে নাথুরাম’

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের জন্মদিনে রাজনীতির কথা বলবেন না বলে ভাষণের শুরুতেই জানিয়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মিছিলের শুরু থেকেই বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ। বিজেপির বিবেকানন্দ-ভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, ‘গুজরাটে ৩৫০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হল সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি। তার প্রতিবাদ করছি না। কিন্তু, কেন কলকাতার বুকে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নেতাজি বা বিবেকানন্দের মূর্তি হবে না? এই প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের মনে।’   এ দিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উলক্ষে পদযাত্রা করে তৃণমূল। হাজরায় অভিষেকের নিশানায় আগাগোড়াই ছিল বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ বলেন,’একদিনের নোটিসে মিছিল করেছি। মানুষের বিশ্বাস, উচ্চাশা ও আকাঙক্ষাকে তুলনা করলে অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল ১০-০ গোলে হেরে যাবে। এটা গুজরাট নয়। বাংলায় ধর্মে ধর্মে বিভাজন করা যাবে না।  স্বামীজির ছবি সামনে রেখে ২০১৪ সালে প্রচার করেছিল। তারপর বেলুড়মঠকে ন্যূনতম সম্মান দেয়নি। গুজরাটে ৩,৫০০ কোটি টাকায় তৈরি হল সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি। আমরা প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু, কেন কলকাতার বুকে ৩ হাজার কোটি খরচ করে স্বামী বিবেকানন্দ বা নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তি তৈরি হবে না?’ যাঁরা মূর্তি ভাঙে তাঁদের স্বামীজীর নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই, এঁরা মুখে বলে স্বামী বিবেকানন্দ, আর মনে মনে ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ্ব। একই সাথে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁরা হিন্দুত্ব নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তাঁদের মুখে কেবল শ্রীরাম আর কর্মে নাথুরাম। এদের মুখে রাম-কর্মে নাথুরাম। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এলো, যে বিবেকানন্দের নাম ঠিক পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারে না, সেদিন তো কই বিজেপির কেউ এক জনও প্রতিবাদ করেনি। আজ আমি কোনও বিজেপির প্রশ্নের উত্তর দেবো না, বিবেকানন্দের ছবি ব্যবহার করে আমি রাজনৈতিক কথা বলবো না । এটা আমাদের নেত্রী শিখিয়েছেন। ট্রাম্পের বিসর্জন হয়ে গেছে, কতো জন আগাছা পরে আছে ওগুলোও চলে যাবে। নারীর ক্ষমতায়নে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,’স্বামীজির দীক্ষা, শিক্ষা নিয়ে মানবসেবার কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেছিলেন স্বামীজি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মাধ্যমে সেই কাজই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাড়ির বয়স্ক গৃহকর্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন।’ অভিষেকের এও বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। রাজনীতির লড়াই আমি মাঠে বুঝে নেব। লড়াই মমতা বন্দোপাধ্যায় জিতবে। দিল্লির কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় মাথা নত করবে না।’

https://www.facebook.com/AbhishekBanerjeeOfficial/videos/1054606541694482