তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই এবার দলে কার্যত ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’-এর ভূমিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল ভবনে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিপুল সাফল্য মেলার পর থেকেই তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়ানোর পক্ষে জোরদার গুঞ্জন চলছিল। সেই গুঞ্জনই এবার সত্যি হল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে এবার গুরুত্ব আরও বাড়ছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এতদিন যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন অভিষেক। এবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলে বেশ কিছু রদবদল এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের বদলে এবার যুব তৃণমূলের সভানেত্রী করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে এলেন কুণাল ঘোষ। রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী হয়েছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী হয়েছেন দোলা সেন। দলের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে পূর্ণেন্দু বসুকে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ চক্রবর্তী হলেন রাজ্য তৃণমূলের সংস্কৃতি শাখার সভাপতি। বঙ্গজননীর সভানেত্রী হলেন মালা রায়। রাজ্য সম্পাদক পদে আনা হয়েছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসীম মাঝি, প্রদ্যুৎ ঘোষ, বেচারাম মান্না এবং আশিস (নান্টি) চক্রবর্তীকে। এছাড়াও ৮ জেলার সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল। তৃণমূল ভবনে এদিন দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানা গিয়েছে, এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ”কথায়-কথায় লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। ‘