কলকাতা

মিছিলে রিভলবার, বিজেপি-র জন্যই রামনবমী ঘিরে অশান্তির শুরু, দোষীদের চাই কড়া শাস্তি: অভিষেক

হাওড়ায় রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন। তাঁর দাবি, বাংলায় ২০১৬ সালে বিজেপি বাংলার বিধানসভায় মাত্র ৩টি আসন জিতেছিল। তারপর থেকেই বাংলার বুকে ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর রামনবমী ঘিরে অশান্তির শুরু। তার আগে বাংলায় রামনবমীতে কোনও অশান্তি হতো না। বিজেপি’র তরফেই রীতিমত চক্রান্ত করে রামনবমীর দিনে এইসব অশান্তির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। হাওড়ার ঘটনার ক্ষেত্রেও ১ মাস আগে থেকে চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনকি এদিন হাওড়ার ঘটনার জন্য নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও দোষী ঠাউরেছেন অভিষেক। কার্যত তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’র অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এদিন সাঙ্গাবাদিক বৈঠক করে এভাবেই তোপ দেগেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই কাজিপাড়ায় মিছিল। আবেদন করা মানেই অনুমতি নয়। প্রশাসনের গাইডলাইন মানা হয়নি। বিজেপি-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিষেক বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিলের অনুমতি ছিল না। আমি অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে মিছিল করতে পারি? কত বড় মিথ্যে কথা।  বাংলার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’ বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেকের বক্তব্য, ‘বন্দুক-পিস্তল নিয়ে রামনবমীর মিছিল। রামকে স্মরণ করার এ কোন প্রথা? প্রশ্ন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। উগ্রভাবে ডিজে চালিয়ে রামকে স্মরণ করা এ কোন প্রথা? এতদিন তো বাংলায় দেখিনি। বন্দুক নিয়ে, পিস্তল ঝুলিয়ে রামনবমীর মিছিল। বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে হাতজোড় করে আবেদন করছি কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইচ্ছাকৃতভাবে ভয়, ভীতি, দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। গাইডলাইন মেনে শোভাযাত্রা করতে হবে এটাই দেশের আইন। দুটো আলাদা মিছিল বেরিয়েছিল। সেটা একসঙ্গে হয়ে এই গুন্ডামি চালানো হয়েছে।’ অভিষেক, ‘রামনবমীর নামে এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলওয়ালার ঠেলায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। উগ্রভাবে DJ বাজানো হয়েছে। শ্বেতপত্র দেখিয়ে অভিষেক বলেন, ‘চিঠিতে স্পষ্টভাবে পুলিশের তরফে ৪টে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোনও গাইডলাইন ফলো করা হয়নি। কোমরে বন্দুক, পিস্তল গুঁজে রামনবমীর মিছিল কোথায় হয়? ক্রিমিনালদের কোনও সম্প্রদায় হয় না। যে বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু’দিন আগে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে আসে। দু’দিন পর শ্যামবাজারের মঞ্চ থেকে বলছে, টিভির পর্দায় নজর রাখুন। পরদিন দাঙ্গা হয়। এর জন্য কে দায়ী?’