লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে ধুপগুড়িতে ঝাঁঝালো বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রকে তুমুল নিশানা করার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন নতুন তৃণমূলে কী হতে চলেছে নিয়ম। অভিষেক এদিন বলেন, “আজকের তারিখ লিখে রাখুন। যে সংখ্যায় লোক আজ ধূপগুড়িতে এসেছে তা অভাবনীয়। চার ঘণ্টা ধরে সভাস্থলে আছেন এঁরা। এটা জুমলাবাজদের মাটি নয়। আজকের সভা দেখার পরে বিজেপি নেতাদের ঘুম হবে না। আজ ছুটির দিন নয়। তাও যে ভাবে ভিড় হয়েছে। আমি সবার পা ছু্ঁয়ে প্রণাম জানাচ্ছি।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “ধূপগুড়ি মহকুমা হবে বলেছিলাম। কথা রেখে সেটা করা হয়েছে। হাইকোর্টে একটা কারণে আটকে ছিল। এক মাস আগেও বলেছিলাম ময়নাগুড়িতে এসে, ধূপগুড়িতে মহকুমা হবার পাশাপাশি ধূপগুড়িতে মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়বে। নির্বাচন চললে সরকার কাজ বা ঘোষণা করতে পারে না। তিন মাস সময় নিলাম। ১০০ বেডের হাসপাতাল করে দেখাব। এটা আমার গ্যারান্টি।” জলপাইগুড়িতে টর্নেডোর ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে অভিষেকের সওয়াল “বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বার্নিশ ক্ষতবিক্ষত। রাতে কে ছুটে এল? মোদি বা দিদি? তাহলে কার গ্যারান্টি নেবেন? পাশে থাকা দিদির না মোদির?” তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড আরও যোগ করেন, “যুবরা ভোট দিয়েছিলেন মোদিকে। বিশ্বের নানা সূচক দেখুন। ক্ষুধা সূচক ৯৯ থেকে ১১১ হল। দূর্নীতি অনুধাবন সূচক ৮৫ থেকে ৯৩, ভারতের গ্ণতন্ত্র ভূলন্ঠিত। সূচক ২৮ থেকে ৫৩ হল। আর মোদিজি ভোট চাইতে এসে বলেন, আমাকে ভোট দিন। মোদিকে দেখতে পেয়েছেন?” নতুন তৃণমূল কেমন? এদিন ধূপগুড়ির সভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “অনেকে আমাকে চিঠি বা হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন। আবার আমার মতামত সংগ্রহ শুরু হবে। জুন মাসের শেষ থেকে। কাকে বিধানসভায় বিধায়ক দেখতে চান। ধূপগুড়িকে তাকেই করে জেতাব। নবজোয়ারের মত হবে। সব ওয়ার্ডে যাব। যাকে কাউন্সিলর দেখতে চান। সেই হবে। কেউ যদি ভাবে আমাকে কাউন্সিলর করতে হবে। তা নয়। মানুষ যাকে দেখতে চায়, সেই হবে। এটাই নতুন তৃণমূল।”