‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা ‘প্রতীকী হুমকি নয়’, এ বার প্রয়োজন ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ দখল করা। পহেলগামের জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘তাদের বোঝার ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।’ মন্তব্য তাঁর। কাশ্মীরে সীমান্তপারের জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যথেষ্ট নয় বলেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পর্যবেক্ষণ। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। পহেলগামের ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স-এর ‘ব্যর্থতা’-র কথা কার্যত মেনে নেয় কেন্দ্র।এমনই দাবি বিরোধীদের। এরকম একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার বিষয়ে কেন ইন্টেলিজেন্স ইনপুট মেনে চলা হলো না, সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিকে অভিযোগ আঙুল তোলা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই অভিষেক রবিবার বলেন, ‘আমি শেষ কয়েকদিন মূলধারার গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পহেলগামে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার পিছনে থাকা ত্রুটিগুলি তদন্ত করার পরিবর্তে, তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কথা বলে চলেছে।’ তুচ্ছ রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে বিষয়টির পর্যালোচনা করা উচিত বলে জানান তিনি। উরি, পুলওয়ামা হোক বা পহেলগাম, দেশের মাটিতে একের পর এক জঙ্গি হামলা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাস দমনে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ প্রয়োজন। অভিষেকের কথায়, ‘এর (সন্ত্রাসবাদী হামলা) স্থায়ী সমাধান করার সময় এসেছে। পাকিস্তানের জন্য আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা প্রতীকী হুমকির সময় নয়। তাদের বোঝার ভাষায় তাদের শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) দাবি করার সময় এসেছে।’ দীর্ঘদিন ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে কেন্দ্র সরকার বহুবার অভিযোগ করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গা–ঢাকা দেয় এই তথ্য বহুবার ভারত তুলে ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক পিওকে পুনরুদ্ধারের পক্ষে সওয়াল করায় বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যে দল এক সময়ে প্রশ্ন তুলেছিল, কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা তা হলে এখন মানছেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে পিওকে দখল করতে হবে। পিওকে পুনরুদ্ধার করার প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি (অভিষেক) নিশ্চই এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন। জঙ্গি দমনে শৈথিল্য দেখানো উচিত নয়। ভারতের চিরকালের মনোভাব হল, কোনও বিদেশি আগ্রাসন আমরা যেমন মানব না, তেমন–ই আমরা বাড়তি আগ্রাসনের পথে যাব না।’
