জন্মদিনের দিন পেয়েছিলেন ইডি-র নোটিস। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর ছিল বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেকের হাজিরা ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা চত্বর৷ যদিও হাজিরার ১ ঘণ্টার মধ্যেই সিজিও থেকে বেরিয়েও আসেন তিনি৷ সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানালেন, ৬ থেকে সাড়ে ৬০০০ পাতার নথি আজ ইডির কাছে জমা দিয়েছেন তিনি। আগামিতেও তাঁকে যখনই ডাকা হবে, তখনই আবার আসবেন তিনি। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তিনি। অভিষেক বলেন, “আগেও সমন পেয়েছি, এসেছি। তদন্তে সহযোগিতা করেছি। শেষ যে সমনটা পেয়েছি, ২ দিন আগে, খুব কম সময় ছিল। কিছু নথি আমার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। এর আগে ১০ তারিখ একবার নথি জমা দিই। আজ আরও কিছু নির্দিষ্ট নথি চেয়ে পাঠায়। আমি জমা দিয়েছি। সঙ্গে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। আমি তাই নিজে এসেছি। ৬০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছি। আমাকে যখন যেখানে ডেকেছে, আমি গিয়েছি। আগামিতেও যখন আবার ডাকবে, তখন আবার আসব। তদন্তে আমার লুকানোর কিছু নেই। আমি বার বার বলে এসেছি, আগামিতেও বলব, তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে এসেছি, আর আগামীদিনেও করব। ৯ অক্টোবরও আমাকে একটি সমন পাঠায়। যা আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায়। এখন আবার ২ দিন আগে নোটিস পাঠিয়ে আজ আমাকে ডাকা হয়। ১১টায় ডাকা হয়েছিল। ১১টায় পৌঁছেছি। প্রায় ৬- সাড়ে ৬ হাজার পাতার উত্তর জমা দিয়েছি। আদালতের নির্দেশ রয়েছে, তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না।”