জলপাইগুড়িতে সাম্প্রতিক ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে বেশকিছু বাড়ি। আর সেই বাড়িগুলি তৈরি করতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হল না। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানিয়ে দেন অভিষেক। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে ঝড়ে বিধ্বস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য অনুমতি দেবে না তারা।’ অভিষেক আরও জানান, রাজ্য টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলেছে, তারপরেও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘মোদিজির মডেল হল, না ঘর বনাউঙ্গা, না ঘর বনানে দুঙ্গা।’ বাড়ি তৈরির টাকা দিতে প্রশাসন যে প্রস্তুত সেই কথা অবশ্য এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা গিয়েছে। অভিষেক জানিয়েছেন, আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীনই অসমে বিহু উৎসব পালনের জন্য টাকা দেওয়ার অনুমতি কমিশন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, দুপুরে কমিশনের তরফে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ, যাঁদের ঘর মাটিতে মিশে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির টাকা রাজ্য দিতে চাইলেও কমিশন অনুমতি দেবে না। রাজ্যকে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া যাবে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতির জন্য টাকা দেওয়া যাবে। অল্প ক্ষতি হলে পাঁচ হাজার টাকা এবং বেশি ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন, এরা বাংলা বিরোধী নয় তো কারা বিরোধী?’’ এর পরেই অসমের প্রসঙ্গ টানেন অভিষেক। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, ‘‘অসমে বিহু পালনের জন্য গত পরশু ওই রাজ্যের ২০০০টি কমিটিকে কমিশন দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন উৎসব পালনের জন্য এই টাকা দেওয়া হল। উৎসব নিয়ে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলার যখন প্রয়োজন, তখন কমিশন অনুমতি দিল না। কারণ বাংলায় বিজেপির সরকার নেই। অসমে রয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত, বিজেপি বাংলা-বিরোধী।’’