পাথরপ্রতিমার দেবীচকের ত্রাণ শিবিরে ঘুরে দেখলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরসূচি অনুযায়ী, সকালে মহেন্দ্রপুর হাইস্কুল মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার নামে। তিনি যান দেবীচকের ত্রাণ শিবিরে। শিবিরে থাকা দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্য সরকারের নির্ধারিত প্যাকেজ অনুযায়ী দুর্গতরা ত্রাণ পাবেন বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য পাবেন। গবাদি পশু, পানের বরোজের ক্ষতি হলেও অর্থ সাহায্য মিলবে। মৎস্যজীবীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি অনুরোধ করব সকলে এখানেই থাকুন। কেউ সাহায্য করুন না করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রয়েছেন
ততদিন কোনও চিন্তা করবেন না।” দেবীচকের ত্রাণ শিবির থেকে তৃণমূল সাংসদ যান রামগঙ্গা ঘাটে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, পাথরপ্রতিমা বিধায়ক সমীর জানাকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে করে যান গোপালনগর এলাকায়। যাওয়ার পথে লঞ্চে বসেই যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেন তিনি। গোপাল নগর থেকে ফিরে এসে রামগঙ্গা ঘাট এলাকায় একটি বেসরকারী হোটেলে যান তিনি। সেখানে তৃণমূলের উদ্যোগে একটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলার মানুষ বাংলার সঙ্গে আছেন। তাই যে কোনও বিপর্যয় সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে এই রাজ্য। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে অনেক নেতাই স্থানীয় মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোটের পরে তাঁদের মধ্যে অনেককেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু নির্বাচনের আগে যে কথা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচনের পর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত দুর্গত এলাকার মানুষ তাঁকে পাশে পেয়ে ভরসা পাচ্ছেন।