আবারও ক্যানসারে আক্রান্ত হলেন টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এর আগেও একবার ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। মারণ ব্যাধির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলার ডানদিকের ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়বার খবর সামনে আসে মঙ্গলবার, এরপর অপেক্ষা চলছিল বায়োপসি রিপোর্টের। বৃহস্পতিবার রাতে সেই রিপোর্ট স্পষ্ট করেদিল পাঁচ বছর পর আবারও ক্যানসার থাবা বসিয়েছে অভিনেত্রীর শরীরে।ঐন্দ্রিলা এর আগে টেন্টস নামক বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হন ২০১৫ সালে। প্রায় দেড় বছরের লড়াই পেরিয়ে ক্যানসার জয়ী হন ঐন্দ্রিলা। ১৬টি কেমো আর ৩৩টি রেডিয়েশনের পর গতবার ক্যানসার যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। জানা গিয়েছে সরস্বতী পুজোর আগের দিন ঐন্দ্রিলার কাঁধে মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হয়। সেইদিন শ্যুটিং ছিল ঐন্দ্রিলার, তবে বাধ্য হয়েই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। ঐন্দ্রিলার দিদি, যিনি নিজে একজন চিকিত্সক তাঁর পরামর্শেই কিছু ওষুধ খান নাায়িকা, তবে কাজ হয়নি। এরপর গত রবিবার চিকিত্সার জন্য দিল্লি পৌঁছান অভিনেত্রী। আপতত দিল্লির অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালের বিছানা থেকেই ইনস্টাগ্রামে লাইভ আসেন ঐন্দ্রিলা, তখনও হাতে আসেনি বায়োপসির রিপোর্ট। ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা। সুস্থতার পর ফের আরও একবার কঠিন রোগ ঐন্দ্রিলার শরীরে বাসা বেঁধেছে বলে জানা যায়। অনুরাগীদের নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে প্রার্থনা করতে বলেন ঐন্দ্রিলা। কান্না ভেজা গলায় অভিনেত্রী বলেন, ‘ঠাকুরের কাছে তোমরা সবাই একটু প্রার্থনা কর যাতে রিপোর্টটা ভালো আসে’। একথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘তোমরা জানো পাঁচ বছর অনেক সহ্য করেছিল.. এখন আর সেই শক্তি নেই’। ভক্তদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলার কান্না দেখে মন ভেঙে যায় তাঁর অনুরাগীদের। অভিনেত্রী যাতে শিগগিরই সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই প্রার্থনা করেন অনেকে। এদিকে ঐন্দ্রিলা যখন মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করছন, সেই সময় বান্ধবীর মনের জোর বাড়ালেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। বিপদের সময় বান্ধবী যাতে মনের জোর না হারান, মন শক্ত করে থাকেন, সেই পরামর্শই দেন পর্দার বামাক্ষ্যাপা। ঐন্দ্রিলা যতে ভেঙে না পড়েন, সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সব্যসাচী।