জেলা

৩৫ বহু দূর, বিজেপি ৩টে আসনও পাবে তো, কটাক্ষ অধীরের

বাংলার বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় কংগ্রেস। নেপথ্যে বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান। কার্যত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান চোখে পড়ছিল। কিন্তু সেটা কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে বড়সড় থাবা বসাতে পারেনি। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটে দেখা গেল বিজেপি ১৮ আর কংগ্রেস মাত্র ২। একুশের তো তাঁরা একদম শূন্যে এসে দাঁড়াল। যদিও সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে তাঁদের আবারও খাতা খুলেছে রাজ্য বিধানসভায়। শুধু এটুকুর ওপর দাঁড়িয়েই শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তীব্র কটাক্ষ হানলেন অমিত শাহ ও বিজেপির দিকে। সিউড়ির সভা থেকে শাহ দাবি করেছেন, ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন চাই তাঁদের। এই দাবি শুনেই কটাক্ষ হেনেছেন অধীর। তাঁর সাফ দাবি, ‘৩৫টা আসন জেতা তো বহু দূর, ৩টে আসনও জিতবে তো বিজেপি!’ অধীরের এই দাবি কিন্তু কেউই উড়িয়ে দিতে পারছেন না। বিজেপি আদতে বাংলার গোটা ১০-১২ লোকসভা কেন্দ্রে এখন লড়াই করার মতন জায়গায় আছে। কিন্তু এই আসনগুলির মধ্যে তাঁরা সব আসন পাবে একথা জোর গলায় কেউই বলতে পারছেন না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ৩৫টি আসন দখলের খোয়াবন না দেখাই ভাল। দেখলে বলতেই হবেম, বাংলার বুকে শাহ দিবাস্বপ্ন দেখছেন। বাংলার বুকে কংগ্রেসের চিরাচরিত গড় মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এই ৩টি জেলায় লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৬টি। মুর্শিদাবাদে ৩টি, মালদায় ২টি ও উত্তর দিনাজপুরে ১টি। উনিশের ভোটে বিজেপি এর মধ্যে মাত্র ২টি আসন দখল করতে সমর্থ হয়। রায়গঞ্জ ও উত্তর মালদা। দক্ষিণ মালদা ও বহরমপুর কংগ্রেসের দখলেই রয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে ফুটেছে ঘাসফুল। এই অবস্থায় একুশের ভোট পরিষ্কার দেখিয়ে দিচ্ছে এই ৬টি আসনেই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই ৩টি জেলাতেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাংলাজুড়ে বিজেপির কী অবস্থা এখন। অধীরবাবু যদি দাবি করেন বিজেপি ৩টি আসনও পাবে না তাহলে সেটি কী খুব ভুল হবে! শাহ বঙ্গ বিজেপিকে হোমটাস্ক দিয়ে যেতেই পারেন। বাংলার মানুষের কাছে আবদার জুড়ে বলতেই পারেন, ৩৫টি আসন তুলে দিন আমাদের হাতে। কিন্তু সেই আবদার রাখার মতো ভোটার আছে তো বিজেপির হাতে। ভুলে যাবেন না, উনিশের ভোটে ও একুশের ভোটে জেতা আসনও বিজেপি ধরে রাখতে পারছে না। রাজ্যের ৩০ হাজার বুথে তাঁদের একজন কর্মীও নেই। তাহলে ৩৫টি লোকসভা কেন্দ্রে তাঁরা জিতবেন কাদের কাঁধে ভর দিয়ে!