জেলা

১০ বছর খেয়ে মধু, তোলাবাজ সাজছে সাধু, শুভেন্দুকে কটাক্ষ অভিষেকের

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/2780660428912655

আজ কুলতলির জনসভা থেকে বিজেপিকে এবং সদ্য দলত্যাগী নেতাদের তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বক্তৃতার শুরুতেই তিনি স্লোগান তুললেন, “যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি।” এদিন অভিষেক বলেন, “এই জেলায় পরিবর্তনের প্রথম চাকা ঘুরেছিল। কুলতলিতে তৃণমূল প্রার্থীই জিতবেন। পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন।” গতকাল ভিক্টোরিয়ায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয়। ভিক্টোরিয়ায় তেমনই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। বক্তৃতা না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর জবাব পেয়েছিলেন। তাতেও তাদের শিক্ষা হয়নি। নেতাজিকে যারা অপমান করল, তাদেরও সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে যেন কোথাও মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে। ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলার মানুষের সঙ্গে এই জুমলা পার্টির লড়াই হবে। মানুষই তাদের জবাব দেবেন।” অভিষেক আরও বলেন, “জিএসটির টাকা আটকে ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্র। দিলীপ ঘোষরা বলছেন স্বাস্থ্যসাথী আসলে ভাঁওতা। আবার ওনার পরিবারের লোকেরাই গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে এই কার্ড করাচ্ছে। তাই উন্নয়ন ও পরিসংখ্যানের নিরিখে লড়াই হোক। ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতিতে পা রাখব না। এরা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে পারে না। যত আক্রমণ করা হচ্ছে আমাকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার আগে আমার সঙ্গে লড়ুন।” পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “তোমাকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গেছে। আর তুমি আমাকে তোলাবাজ বলছ? সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন যে তিনি শুভেন্দুকে টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ১০ বছর খেয়ে মধু, তোলাবাজ এখন সাজছে সাধু। সুদীপ্ত সেন আদালতকে চিঠিতে লিখেছিলেন। এমন প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে নেই। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। আমি প্রমাণ দিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারবে? প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।”

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/3662335520511885