কলকাতা

আগের বার রিগিং করে ভোটে জিতেছেন, ২০২৬-এ দুই তৃতীয়াংশ ভোটে আমরা বাংলায় সরকার গড়বোঃ অমিত শাহ

রিগিং করে ভোটে জিতেছেন ! ধর্মতলার সভা থেকে নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । একই সঙ্গে, বুধবার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে কার্যত ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, সবকিছুরই হিসাব দিলেন অমিত শাহ । সেই সঙ্গে, এদিন কার্যত নাম করেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত শাহ । তিনি বলেন, যত পারবেন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যান । মমতাদিদি আপনি তো রিগিং করে জিতেছেন ভোটে । তারপরও আমাদের ৭৭টি আসন এসেছিল । কোথায় শূন্য ছিল সেখান থেকে ৭৭টি আসন এসেছে । আর আজকের এই সমাবেশ দেখে বলছি ২০২৬ সালে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে আমরা এখানে সরকার গড়ব । এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অমিত শাহ । মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হিসাবও দিয়েছেন । যে মনরেগা বা আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল তৃণমূল, কার্যত তারই এদিন প্রকল্প ধরে ধরে হিসাব দিয়েছেন অমিত শাহ । এদিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কীভাবে দেওয়া হয়েছে তার হিসাব

দিয়ে শাহ বলেন, ইউপিএ সরকারে আমলে আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সেই সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাকে দিয়েছে দুই লক্ষ কোটি টাকা । আর মোদিজি নয় বছরে ছয় লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে । এক লক্ষ 80 হাজার কোটি টাকা মনরেগায় তিনগুণ দিয়েছে বিজেপি সরকার । আর আপনি ধরণায় বসছেন ! একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, গ্রাম সড়ক, আবাস যোজনা, মনরেগায় এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল হাইওয়েতে ৭০ হাজার কোটি, রেলের জন্য ১৬ হাজার কোটি, সেচের জন্য তিন হাজার কোটি সব মিলিয়ে আমরা আট লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছি । সেই সঙ্গে, শাহ এদিন কার্যত আক্রমণের সুরে বলেন, আজকের এই সমাবেশ দেখে বলছি, আগামী বিধানসভা ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আমরা এখানে সরকার গড়বো । তার আগে ২৪-এর লোকসভা ভোট আছে । আগের বার আপনারা ১৮টি আসন দিয়েছিলেন । এবার এত আসন দিন যাতে শপথ নেওয়ার পর মোদিজিকে বলতে হয়, আমি বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছি । বাংলায় পরিবারবাদ দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল উন্নয়ন করতে পারবে না । বামেরাও করতে পারবে না । কংগ্রেস তো তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে । দুর্নীতি রুখতে হবে আর তা মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপিই করতে পারবে ।