আমতার ছাত্র নেতার মৃত্যুতে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার গুরত্ব বিচার করে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে খুনের মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল জেলা পুলিস সুপারকে। হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিশ খানের রহস্য মৃত্যুতে কাঠগড়ায় পুলিশ৷ তদন্তে পুলিসের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের পর এদিন হাওড়া জেলার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ৷ তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং সিআইডির শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ আনিস মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি, তদন্ত কীভাবে এগোচ্ছে এবং শুক্রবার থেকে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই সম্পর্কেও তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে শেষপর্যন্ত নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বৈঠকে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে শুক্রবার রাতে চারজন ব্যক্তি তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন বলে আগেই জানিয়েছেন আনিশের বাবা ৷ তারপরই ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় আইএসএফের ছাত্র নেতার ৷ পুলিশ পরিচয় দিয়ে কোনও দুষ্কৃতী দল সেদিন আনিশের বাড়ি গিয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তবে পুলিশের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন আনিশের বাবা সালেম খান ৷ গোটা ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ৷ এই অবস্থায় ঘটনার তদন্ত করবেন ডিএসপি পদমর্যাদার একজন অফিসার ৷ সূত্রের খবর, ঘটনার পরই কেন ফরেন্সিক দলকে ডেকে পাঠানো হল না, সেই প্রশ্নও করা হয় সৌম্য রায়কে ৷ এরপরেই সিদ্ধান্ত হয় একজন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হবে ৷