‘ওরা আমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে চাইছে…’!
অঙ্কিতা ভান্ডারীর দেহ উদ্ধার হতেই উত্তরাখণ্ডের দুই নেতাকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি৷ সেই সাসপেনশন ছাপিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ রিসর্টে দেহব্যবসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল অঙ্কিতাকে, এই সম্পর্কিত একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশিত হয়েছে ৷ এক বন্ধুকে ওই চ্যাটে অঙ্কিতা বলেন, পুলকিত আর্য এবং অঙ্কিত গুপ্তা তাঁকে ভিআইপি অতিথি হিসেবে বিশেষ পরিষেবা দিতে বাধ্য করছে । একইসঙ্গে ঘটনার রাতে রিসোর্টের রাঁধুনির সঙ্গেও কথা বলেন অঙ্কিতা ভান্ডারী । এটাই ছিল অঙ্কিতার শেষ কল । তরুণী অঙ্কিতার হত্যায় অভিযুক্ত পুলকিত ৷ যার বাবা বিনোদ আর্য উত্তরাখণ্ডে বিজেপির নেতা ও ওবিসি মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ৷ তাঁকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি ৷ একইসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিনোদের আরেক ছেলে অঙ্কিতকেও ৷ অঙ্কিত আবার উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী ৷ এর আগে অঙ্কিতার এক ফেসবুক বন্ধুও দাবি করেছিলেন, রিসর্টে আসা অতিথিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে আপত্তি করায় অঙ্কিতাকে খুন করা হয়। হোয়াসঅ্যাপ চ্যাটের পাশাপাশি সামনে এসেছে অঙ্কিতার একটি ফোন কলের অডিও রেকর্ডিংও। সহকর্মীকে ফোন করে কাঁদতে থাকা অঙ্কিতা, তাঁর ব্যগা নিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন। অঙ্কিতার এক বন্ধুর অভিযোগ, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলে পুলকিত আর্যর দাবি মেনে ‘স্পেশাল সার্ভিস’ দিতে রাজি না হওয়াতেই খুন করা হয়েছে অঙ্কিতাকে। একই দাবি করেছিল অঙ্কিতার পরিবারও। এ বার পুলিশ তদন্তেও কার্যত একই কথা উঠে এল। ডিজি বলেন, ‘‘অঙ্কিতার সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুর কথোপকথন আমরা পেয়েছি। সেখানে অঙ্কিতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাঁকে রিসর্টে আসা অতিথিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে চাপ দিতেন রিসর্টের মালিক। আমরা এই কথোপকথনের সত্যতা খতিয়ে দেখছি।’’ রিসর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে ১৮ সেপ্টেম্বর, যে দিন অঙ্কিতা খুন হন, সে দিন তিনি কাঁদতে কাঁদতে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাহলে কি অঙ্কিতাকে অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার চাপ দেওয়ার কারণেই তিনি ভেঙে পড়েছিলেন? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তেমনটাই হয়েছিল। রিসর্টের মালিক পুলকিত, যাঁর বাবা উত্তরাখণ্ডের বিজেপির নেতা, তাঁর সঙ্গেও অঙ্কিতার কথা কাটাকাটির খবর জানতে পেরেছে পুলিশ।