কেটে গিয়েছে দুটো বছর। ২০২২ সালের আগস্টে জেলে যাওয়ার পর, বীরভূমের কেষ্ট ঘরে ফিরলেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। মঙ্গলবার ভোরেই কন্যা সুকন্যার সঙ্গে বিমানবন্দরে পৌঁছন, বেলা গড়াতেই কেষ্ট ফিরলেন বোলপুরে, একেবারে ২৫ মাস পর।তিনি ফেরায় উচ্ছ্বাস সে বোলপুরে ফুটে উঠবে তা স্পষ্ট হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফিরলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তিনি বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সামনে অনুগামীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাড়ি ঢোকার আগে চোখে জল কেষ্টর। তাঁকে বরণ করে নেওয়ার জন্য সেখানকার মানুষ গত কয়েকদিনে এক প্রকার প্রস্তুত হয়েছেন। মঙ্গলবার অনুব্রত ঘরে ফিরতেই দেখা গেল সবুজ আবীর বোলপুরের নীচুপট্টিতে। কেউ অপেক্ষা করলেন হাসি মুখে, কারও হাতে শাঁখ। কেউ আবির নিয়ে তৈরি কারও দায়িত্ব মিষ্টির। সকলেই ভিড় করে অপেক্ষা করছিলেন কেষ্টর ফিরে আসার। তাঁর নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। অনুব্রতও হেসে কুশল বিনিময় করলেন। আবেগে তখন চোখে জল নেতার। জনগণের উচ্ছ্বাসের মাঝেই, নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে মেয়ের হাত ধরে ঘরে ঢোকেন। চিরাচরিত ভঙ্গীতে বসেন নীচুপট্টির ঘরের চেয়ারে। কথা বলতে বলতে কেঁদেও ফেললেন।দিলেন বার্তাও। ঘরে ফিরে কী বললেন বীরভূমের কেষ্ট? জেলায় ফিরেই তাঁর মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। কারাবাসের সময় দল কিন্তু বারবার দাঁড়িয়েছে অনুব্রতর পাশে। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন, শারদীয়ার শুভেচ্ছা।’ সঙ্গেই বলেন, ‘দিদি যেমন আমাকে ভালবাসেন, আমিও দিদিকে ভালবাসি। দিদিকে গোটা রাজ্যের মানুষ, দেশের মানুষ ভালবাসেন।‘ জেলে থাকাকালীন বারবার তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। জেল থেকে ফিরেও অনুব্রত জানালেন সেকথা। বললেন, সমস্যা রয়েছে পায়ে। যেদিন দীর্ঘ কারাবাসের পর অনুব্রত ফিরলেন ঘরে, সেদিনই বীরভূমে প্রশাসনিক সভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। জল্পনা ছিল আজই দু’ জনের সাক্ষাতের। জল্পনা বাড়ল অনুব্রতর কথায়। বললেন, শরীর সায় দিলে সাক্ষাৎ আজই। সঙ্গেই জানালেন, দিদির জন্য ছিলেন, থাকবেন।