দেশ

‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত হলে নোট বাতিল করতেন না,’ কটাক্ষ কেজরিওয়ালের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সার্টিফিকেট প্রকাশের দাবি তুলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পড়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুজরাত হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে না প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাতেও আক্রমণের ঝাঁজ কমাচ্ছেন না কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে, তাই তাঁরা গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে ‘স্তম্ভিত’। আপ-প্রধানের কথায়, ‘গণতন্ত্রে তথ্য জানতে চাওয়া এবং প্রশ্ন করার স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিয়েই ধোঁয়াশা বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে থাকতেন, তা হলে তো সেটা আনন্দে জাহির করারই বিষয়। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সার্টিফিকেট প্রকাশ করতে অসুবিধা কোথায়? ডিগ্রি সার্টিফিকেট প্রকাশ না-করার দু’টো কারণ হতে পারে- হয় মোদীর ঔদ্ধত্য, না হলে তাঁর ডিগ্রি ভুয়ো!’ কেজরির মতে, ভারতে দারিদ্র্য যে হারে রয়েছে, তাতে নিরক্ষর হওয়া অপরাধ বা পাপ নয়। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশে অনেকেরই প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। কিন্তু আজ দেশের যুবসমাজ বেকারত্ব থেকে মুক্তি চাইছে, তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইছি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই এমন সব মন্তব্য করেন, যা কোনও শিক্ষিত মানুষ করতে পারেন না। একবার তিনি বলেছিলেন, আকাশ মেঘলা থাকলে বিমান রেডারের সংযোগ ধরতে পারে না। বিজ্ঞানের শিক্ষা থাকলে কেউ এমন কথা বলবেন না। বাচ্চাদের একটা অনুষ্ঠানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকারই করেছেন। বেশ কিছু ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রীকে দাবি করতে শোনা গিয়েছে, গ্রামের প্রাথমিক স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। তা হলে স্নাতক, স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি কোথা থেকে এল?’ কেজরিওয়ালের যুক্তি, দেশের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিদিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও অর্থনীতি সংক্রান্ত। ফলে তাঁর শিক্ষিত হওয়াটা খুব প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে নোট-বাতিল নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি কেজরি। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত না হলে অফিসার এবং অন্যরা এসে যেখানে খুশি স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যাবেন, যা খুশি নির্দেশ পাশ করিয়ে নেবেন- যেমন নোট বাতিল! তার জন্য দেশকে কম ভুগতে হয়নি…প্রধানমন্ত্রী মোদী শিক্ষিত হলে এই নোটবাতিলের পদক্ষেপই করতেন না।’ আপ-প্রধানের এই শানিত আক্রমণের মুখে চুপ নেই গেরুয়া শিবিরও।