অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ তাঁর সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক সমালোচনা করেছেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল একটি আমাজন ওটিটি সিরিজে। এবার তাঁকে দেখা যাবে, জি৫ পিরিয়ড ড্রামা ‘ তাজ: রেইন অফ রিভেঞ্জ’ নামক ঐতিহাসিক ওয়েবসিরিজে। যেখানে তিনি সম্রাট আকবরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। মাঝে মধ্যেই একেকটি বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ককে আমন্ত্রণ জানান অভিনেতা। গতকাল প্রচারমূলক একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চলমান কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক অভিনেতারা নীরবতা বজায় রেখেছেন, বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন না। তাহলে কী ভয়ের কারণে মনের কথা বলছেন না। কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের ভয়ই নীরবতার কারণ? কেউ কি এই মেয়ে কুস্তিগীরদের নিয়ে ছবি বানাবে না, যারা আমাদের মেডেল এনে দিয়েছে…? কেউ কি চলচ্চিত্র নির্মাণের সাহস করবেন? কারণ তাঁরা এর পরিণতি নিয়ে ভয় পায়। ইন্ডাস্ট্রি এই ধরনের বিষয়ে নীরব থাকার জন্য পরিচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম বিদ্বেষ এখন ফ্যাশনে পরিণত হচ্ছে, বিজেপি সরকার এটি অবলম্বন করে ভোট চাইছে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিষয়েও একাধিক সুরে বলেন, পরিচালকরা কখনই জনসাধারণের কথা চিন্তা করেননি এবং প্রগতিশীল চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তারকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মনের কথা বলার জন্য পরিবেশ নেই।’ ৭২ বছর বয়সী প্রবীণ অভিনেতা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২০২১ সালে মাদকের মামলায় অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সোচ্চার সমালোচক ছিলেন বরাবরই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো দ্বারা আরিয়ানকে গ্রেপ্তার, একটি ‘বার্তা’। যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কারণ সরকার দেখাতে চেয়েছিল কীভাবে তাঁরা কাউকে রেহাই দেন না। সেলিব্রিটিরাও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপর ব্যক্তিগত আক্রমণের ভয় পান। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি তাঁরা সবাই পরিবারকে ভয় পায়, ব্যক্তিগত হয়রানির জন্য ভীত। আমি মনে করি তরুণ আরিয়ান খানের কারাবাস একটি বার্তা ছিল যে, আমরা সব করতে পারি, তাই সতর্ক থাকুন। এটাই ছিল বার্তা।”