দেশ

পরকীয়ার জের! অসমে স্বামী-শাশুড়ির দেহ টুকরো করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখল গৃহবধূ

 দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার অসমে। পরকীয়ায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য প্রথমে স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে পরে মৃতদেহ টুকরো-টুকরো করে ফ্রিজে পুরে রেখেছিল এক গৃহবধূ। তার পরে  গুয়াহাটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের চেরাপুঞ্জির এক জায়গায় মৃতদেহের টুকরোগুলি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গৃহবধূ বন্দনা কলিতা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দেহাংশও।   পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে নোনমাটির বাসিন্দা অমরজ্যোতি দে’র সঙ্গে নিয়ে হয় বন্দনা কলিতা। বিয়ের আগেই অন্য এক যুবকের ভালবাসার সম্পর্ক ছিল তার। বন্দনার পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন অমরজ্যোতি ও তাঁর মা শঙ্করী দে। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। স্বামী ও শাশুড়ির আপত্তি উপেক্ষা করে পরকীয়া চালিয়ে যেতে থাকে। কয়েক দিন আগে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে প্রথমে খুন করে বন্দনা। তার পরে মৃতদেহ টুকরো-টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রাখে। তিন দিন বাদে ও মৃতদেহের টুকরোগুলি ব্যাগে পুরে চেরাপুঞ্জির এক জায়গায় পুঁতে রাখে। অমরজ্যোতি ও তাঁর মায়ের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মামলার তদন্তে নেমেই পুলিশের তদন্তকারীরা বন্দনার পরকীয়ার কথা জানতে পারেন। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে স্বামী-শাশুড়িকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় ঘাতক বন্দনা। কীভাবে স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে প্রথমে মৃতদেহ টুকরো করে ফ্রিজে পুঁতে রেখেছিল এবং পরে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে ১৫০ কিলোমিটার দূরের চেরাপুঞ্জির এক জায়গায় গিয়ে পুঁথে রেখে এসেছে তাও খোলসা করে। বন্দনাকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে অমরজ্যোতি ও তাঁর মা শঙ্করী দে’র দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।