পুজো

কার্তিকের পুজোর নির্ঘণ্ট ও মাহাত্ম্য!

বাংলার ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয় কার্তিক পুজো। পশ্চিম বাংলার কোথায় এই পুজো খুব বিখ্যাত। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ, বল লাভ হয় বলেও মনে করেন অনেকে। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনায় মঙ্গল গ্রহের শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।  গ্রাম বাংলার একটি বিশেষ রীতির মধ্যে পরে এটি। বলা হয়, নববিবাহিত বা যাদের সন্তান নেই তাঁদের বাড়িতে যদি কার্তিক পুজো করা হয় তাহলে নাকি কোল আলো করে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। তাই এই প্রথা অনুযায়ী নিঃসন্তান দম্পতি বা নবদম্পতিদের বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলার রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে সবটাই কিন্তু প্রচলিত বিশ্বাস! তাই সদ্য বিবাহিতদের ঘরে কার্তিক ফেলার জন্য মুখিয়ে থাকে পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই। বাড়িতে ফেলে আসা সেই কার্তিক তুলে এনে পুজো করার রীতি রয়েছে।

কার্তিক পুজো ২০২৩ নির্ঘণ্ট

কার্তিক পুজোর সময়কাল – ১৭ নভেম্বর ২০২৩ (শুক্রবার)। শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি শুরু হয়েছে ১৭ নভেম্বর ২০২৩ সকাল ৪টে ৩৩ মিনিটে। চতুর্থী তিথির অবসান হবে ১৮ নভেম্বর ২০২৩ সকাল ৬টায়। তার সঙ্গে আজ রয়েছে গ্রাম বাংলার নিজস্ব ইতু পুজোও। কার্তিক মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবসান হবে এই একমাসব্যাপী আকাশ প্রদীপ দেখানোও।

দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজোর সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট ও মাহাত্ম্য

কালীপুজো ও ভাইফোঁটা মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উত্‍সব হল কার্তিক পুজো। আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার পালিত হচ্ছে কার্তিক পুজো। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাত্‍ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। এই দিনেই তুলা রাশি ত্যাগ করে বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করে সূর্য। কাল থেকে শুরু হবে অগ্রহায়ণ মাস। আমাদের রাজ্য়ে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উত্‍সব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো। মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্ত্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো করলে পুত্র সন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতে অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে।কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও মনে করা হয়।