জেলা

সিবিআই-ইডি তল্লাশি কেন হবে না? কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা ছবি টুইট করে বিজেপির পর্দা ফাঁস করলেন বাবুল সুপ্রিয়!

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরে এসেছিল কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা (Raju Jha)। তৎকালীন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজুকে দলে নেওয়ার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করেছিলেন তিনি। পাত্তা দেওয়া হয়নি তার বক্তব্যকে। শনিবার রাতে শক্তিগড় শ্যুটআউটে নিহত হয়েছে কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজেশ ওরফে রাজু ঝা। বাবুল সুপ্রিয়র টুইট বাণে রীতিমত জর্জরিত গেরুয়া শিবির। বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, যেসব কয়লা মাফিয়া বিজেপিতে যোগদান করেছিল, সিবিআই-ইডি কেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না। তিনি বলেছেন, সব রাজ্যে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। তাঁর বর্তমান দলের বিরুদ্ধেও হচ্ছে। কিন্তু কোন মন্ত্রে বিজেপির সব নেতারা শুদ্ধ হচ্ছেন, সেই প্রশ্ন করেছেন বাবুল। শনিবার রাত থেকে একের পর এক বিস্ফোরক টুইট করছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের নিশানায় বামেরাও। রাজু ঝা ইস্যুতে একের পর এক টুইট বোমা বাবুলের। একটি টুইটে বাবুল সিপিএম নেতাদের নিশানা করে লিখছেন, “আজ অনেক ইঁট পাটকেল কটুকথা ধেয়ে আসবে। কিন্তু কারও validation চাইনা। কিন্তু মন থেকে চাইব মহঃ সেলিমের মতো নেতারা এটা নিয়ে সরব হন। আপনারা যাদের বিরোধিতা করেন তাদের বিরুদ্ধে তো এজেন্সি Active, কিন্তু বিজেপির এই দাগী নেতাগুলো বেঁচে যাচ্ছে কি মন্ত্রে?” অন্যদিকে, কয়লা মাফিয়া রাজুর বিজেপি যোগ নিয়ে বাবুল সরব হতেই মুখ লুকোতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের নেতারা। চিনি না, জানি না বলে নাকে কান্না শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। আর তখনই ছবি সহ তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে ফের বিস্ফোরক বাবুল। টুইটে তিনি লিখছেন, “মধ্যপ্রদেশের প্রভাবশালী মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ও প্রয়াত রাজু ঝা (আলুওয়ালিয়া-দাদার কিছু করা ছিলনা)•কৈলাশ-শিব-দিলীপদাদা, রাজু ঝা, জয়দেব খাঁ ইত্যাদি একগাদা কয়লা মাফিয়াকে জেনেশুনে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত পলাতক ভাইপোর বিধায়ক কাকা ‘দুষ্টু-লক্ষণ’এর মাধ্যমে।” দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের কয়লা মাফিয়াদের ওঠাবসা ও ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও টুইটে দাবি করেছেন বাবুল। তিনি লিখছেন, “মাফিয়ার পুরো দলটাই দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে। তারপর দেওঘরের কাছে বিখ্যাত শিবমন্দিরে তাঁদের একসাথে পুজো দিতে যাওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। খুঁজে দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। সে জন্যই বিজেপির ‘চিনতাম না – জানতাম না’ কাঁদুনি কিন্তু Already শুরু হয়ে গেছে।” কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও একহাত নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। টুইটে তিনি লিখছেন, “তৎকালীন কয়লামন্ত্রীদের কাছে যাদের বিরুদ্ধে অনেক ‘তথ্য’ দিয়েছিলাম তাদের অনেকেই আজ বিজেপিতে। আমার প্রশ্ন simple, CBI-ED হচ্ছে হোক কিন্তু শুধু বিরোধীদের বিরুধ্যে কেন? স্বয়ং কয়লমন্ত্রীর সঙ্গে যারা কয়লা মাফিয়াদের আলাপ করাচ্ছে, FB-এ তার ছবি ঘুরছে, তারা ‘শুদ্ধ’ হচ্ছে কিভাবে? মনে হচ্ছে আজ যেন ED-CBI দুটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে, যারা কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে জোট-সরকারে রয়েছে। তাই তাদের নিশানা শুধুমাত্র বিরোধীরা। সব রাজ্যের বিরোধী নেতাদের ব্যাপারেই এই কথা খাটে কেন, বিজেপিকে তার জবার দিতেই হবে, কেন আইনের এই অপব্যবহার??”