বিদেশ

নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে টানা ৩ দিন অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে অব্যাহত। রবিবারও অগ্নিগর্ভ রইল পড়শি দেশ। কয়েক শো ইসলামিক সংগঠনের সদস্য পূর্ব বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, ট্রেনে হামলা চালায়। পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল বাংলাদেশে। এবার সেই হিংসা রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠেছে। স্থানীয় পুলিশের দাবি অনুযায়ী, অন্তত ১১ জন প্রতিবাদী শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদীর প্রস্থানের পরও হিংসা থামছে না। আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা। নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার পা রাখেন বাংলাদেশে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বর্ষপূর্তি পালন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। এরপর শনিবার মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে ১২ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ উপহার স্বরূপ দেন। তবে মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় সরব হয় ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি। হেফাজতে ইসলাম থেকে শুরু করে সব সংগঠনই এই সফরের বিরোধিতা করে। তাদের দাবি, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নির্যাতনে মদত দিচ্ছেন মোদী। শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে চলাকালীন ভিড়ের মধ্যে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। এতে বহু মানুষ আহত হন। রবিবারও বহু ইসলামপন্থী প্রতিবাদী মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় ট্রেনে হামলা চালায়। ১০ জন তাতে আহত হন। ইঞ্জিন-সহ সবকটি কামরায় ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। একাধিক সরকারি অফিস, সঙ্গীত অ্যাকাডেমি, হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালানো হয়. অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর চালানো হয়। ঢাকায় প্রচুর বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশের উপর পাথরবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা।