পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যাতে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গে এসে হিংসা ছড়াতে না পারে, তার জন্যই রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী-ভবনে ডিজি মনোজ মালব্য বৈঠক করলেন ঝাড়খণ্ড ও বিহার পুলিশের ডিজির সঙ্গে ৷ মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি অজয় সিং, বিহারের ডিজিপি শ্রী আর এস ভাটির সঙ্গে হওয়া মনোজ মালব্যর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির গোয়েন্দারাও ।সূত্রের খবর, পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের মধ্যে আলাদা করে আলোচনা হয় ৷ সেখানেই তিন রাজ্যের পুলিশের মহানির্দেশকদের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয় ৷ ঠিক হয় যে তাঁরা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশদে আলোচনা করবেন । সেই মতোই মঙ্গলবার ভবানীভবনে ওই বৈঠক হয় ৷ মূলত, ঝাড়খণ্ড ও বিহার সীমানা এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ হওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ দুষ্কৃতী থেকে জঙ্গি, অনেকেই ঝাড়খণ্ড থেকে সীমানা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে গা ঢাকা দেয় ৷ ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের যে অংশ পাশাপাশি, সেখানে মাওবাদী সমস্যা একটা সময় ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল ৷ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা যাতে আর বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে সবসময় পুলিশকে নজর রাখতে হয় ৷ সেই কারণে এই দুই রাজ্যের পুলিশের সমন্বয় খুবই জরুরি ৷ফলে বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়গুলিই উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ বৈঠক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি মনোজ মালব্য বলেন, ‘‘সাইবার ক্রাইম থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়েই আমাদের আলোচনা হয়েছে ।’’ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে বাইরের বিভিন্ন দুষ্কৃতীরা কোনোরকমের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে, তার জন্য বিহার ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় নাকা চেকিং করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে । তাছাড়া তিন রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে বৈঠকে ৷”