সম্পাদকীয়

পুজোর আগে আপন মেজাজে ভবানীপুর

নিবেদিতা শেঠঃ ট্রাডিশন হারালো না ভবানীপুর। সবুজ আবিরে সেই মেজাজেই রয়ে গেল ভবানীপুর। ২০১১,২০১৬, ২০২১ এর ভোটের ফলাফল টপকে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাশা মতোই বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই বিধায়ক পদে শপথ নেবেন তিনি। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফলে আবারও প্রমাণ হল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তো ব্যর্থ হয়েইছে। কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের আনাগোনায় ধোপে টিকলো না। পরাজিত বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের গলায় অগত্যা অন্য সুর। সংগঠনের উপরই শেষমেশ দায় চাপালেন হারের।উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, একদা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এর মতো দুঁদে রাজনীতিককে হারিয়েছিলেন রাজনীতির ময়দানে

সেসময়ের অনভিজ্ঞ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সেই সাফল্য পেতেই পারেন, এমনটাই ইঙ্গিত ছিল তাঁর। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো নিজের পদটিও ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন প্রিয়াঙ্কা জিতলে। তিনিও বোধ হয় মনে মনে জানতেন ফলের কথা। তাই এমনটা বলেছিলেন।ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় লড়াই-এর পর প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল নিজেও বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন বটে। কিন্তু সব কথার শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন প্রিয়াঙ্কার। রবিবার প্রিয়াঙ্কা ছাড়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ ঘোষকেও দেখা গেল না। আর শুভেন্দু অধিকারীর টুইটও খুঁজে পাওয়া গেল না। পরাজিত প্রার্থীর পাশে কাউকেই দেখা গেল না এদিন।