আবির খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের সাঁইথিয়া পুর-এলাকা। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরসভার ১ ও 2 নম্বর ওয়ার্ডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন ৷ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় এবং গুজব না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (হেডকোয়ার্টার)-এর নেতৃত্বে এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে কমব্যাট ফোর্সও। ঘটনায় ২১ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। সাঁইথিয়া পুরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডে দোল উপলক্ষ্যে আবির খেলায় মেতেছিলেন অনেকে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাইক বাজছিল ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন সেই মাইক বন্ধ করতে উদ্যত হন। অন্যদিকে, 1 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যাঁরা আবির মাখতে চাননি তাঁদেরও আবির মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরের উপর বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হন। চলে ইট বৃষ্টিও ৷ মাঠের দু’দিক থেকে একপক্ষ অন্যপক্ষের দিকে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে । ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ ভেঙে দেওয়া হয় ঘরের দরজা-জানালাও। পাল্টা ১ নম্বর ওয়ার্ডে চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বেশ কয়েকজনকে। সেই আঘাতে কয়েকজনের মাথাও ফেটেছে। খবর পেয়েই বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (হেডকোয়ার্টার) পরাগ ঘোষের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স যায় ঘটনাস্থলে ৷ এলাকায় চলতে থাকে পুলিশি টহল ৷ যদিও ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে দুটি ওয়ার্ডেই ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং বলেন, “দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল ৷ পুলিশ খবর পেয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। দুপক্ষের ২১ জনকে আটক করা হয়েছে।” এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তারপর পরিস্থিতি কেমন থাকে সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
