গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। কলকাতার লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির লোক ওই বধূকে খুন করেছে বলে তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম পায়েল রায়। কয়েকবছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। রবিবার পায়েলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পায়েলের বাপের বাড়িতে খবর দেয়, পায়েল আত্মহত্যা করেছেন এই দাবি করে। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়। তাঁকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে প্রায় সময় সন্দেহ করত স্বামী। দাম্পত্য সম্পর্কে ঝগড়া ও ঝামেলা হত তার জেরে। পায়েলকে শারীরিকভাবে প্রায়শয়ই তাঁর স্বামী অত্যাচার করত বলে দাবি বধূর পরিবারের। পায়েলের বাপের দাবি, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মিলে তাঁকে হত্যা করেছে। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই বধূর স্বামীর দাবি, পায়েল একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখতেন। আর তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি হত। পায়েলের স্বামী দাবি করেন, রবিবার সন্ধ্যায় শৌচাগার থেকে বেরনোর পর ঘরে পায়েলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি।