জেলা

ভগবানপুরে বিজেপি বিধায়কের রক্ষীর গুলিতে জখম তৃণমূল কর্মী

 বিজেপির মিছিল ঘিরে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভূপতিনগর থানার পাঁউশি বাজার। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান গুলি চালায়। তাতে বিমলকৃষ্ণ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ থামাতে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা ও ভূপতিনগরের সার্কেল ইন্সপেক্টর সুবীর পাল ও থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিসকেও হিমশিম খেতে হয়। এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন পাঁউশির বিজয়নগর এলাকায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই মিছিল পাঁউশি বাজারে আসার পর উত্তেজনা ছড়ায়। দু’দলের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তারপরই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। দু’দলের লোকজন দু’দিকে পজিশন নেয়। শুরু হয় পাথর ও ইটবৃষ্টি। সেসময় ব্রিজের উপর ছিলেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তাঁর সামনে ছিলেন বিধায়কের দেহরক্ষী দুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। দু’পক্ষের ম঩ধ্যে ইটবৃষ্টি চলাকালীন দেহরক্ষীরা তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যান। কিন্তু, শাসকদলের কর্মীরা পিছু না হটে পাল্টা রুখে দাঁড়ায়। আর তখনই এক জওয়ান হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করেন। পরপর চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে। জওয়ানের ছোড়া গুলিতে বরোজ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বিজয়নগর এলাকার বিমলকৃষ্ণ দাস জখম হয়েছেন। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। জখম তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে পাঁউশি বাজারে বরোজ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান মিহির ভৌমিকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদ সদস্য‌ তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, বিমলকৃষ্ণবাবু আমাদের দলের কর্মী। তিনি পাঁউশি বাজারে এসেছিলেন। গোলমাল চলাকালীন সেখানে আটকে পড়েন। বিধায়কের দেহরক্ষীর গুলিতে তিনি জখম হয়েছেন। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিন মিছিল থেকে কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করে বিজেপির লোকজন। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। ওরা প্ররোচনা দিয়ে ঝামেলা তৈরি করেছে।