কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রী এবং মেয়রের কড়া বার্তার পরই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেফতার প্রোমোটার

মুখ্যমন্ত্রী এবং মেয়রের কড়া বার্তার পরই তৎপর পুলিশ। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল নির্মাণ ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় এক প্রোমোটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত এই প্রোমোটার। ধৃতের নাম মহম্মদ ওয়াসিম। ধৃত মহম্মদ ওয়াসিম গার্ডেনরিচ এলাকারই বাসিন্দা। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় রুজু হচ্ছে মামলা। খুনের ধারা রুজু হচ্ছে। গার্ডেনরিচ থানাতে উপস্থিত রয়েছেন সিপি সহ কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রবিবার রাতে গার্ডেনরিচে আজহার মোল্লা বাগানে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতল বাড়ির একাংশ। ভেঙে পড়ে পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট বাড়ির উপর। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় প্রচুর মানুষ ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। এখনও আরও বহু মানুষের ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় গার্ডেনরিচ থানা। সঙ্গে দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টও। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রাও। সারারাত ধরে চলে উদ্ধার কাজ। কমপক্ষে ১৫ জনকে এখনও পর্যন্ত ওই ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দুর্ঘটনার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভেঙে পড়া বহুতল ‘বেআইনি’, বাম আমলকে দুষে প্রোমোটারকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেন, “এই সব এলাকায় বাম আমল থেকে বেআইনি নির্মাণ চলছে। কারণ সেই সময়ে প্রশাসনের কাছ থেকে নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত না। অনুমতি জোগাড় করতে অনেক হেনস্থা হতে হত। বিএলআরও অফিসে গিয়ে পায়ের চটি ক্ষয়ে যেত। তাই প্রোমোটারেরা বেআইনি নির্মাণের পথে হাঁটতেন।” এদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, “বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি কাজের জন্যই এই ঘটনা। প্রশাসনকে বলেছি অ্যাকশন নিতে। দুর্ঘটনার জন্য সকলে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার।”