দেশে কোরোনা থাবা বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সিনেমা হল। এরপর প্রায় সাত মাস পর ১৫ অক্টোবর খোলে সিনেমা হলের দরজা। যদিও সেই সময় দর্শক আসনের মাত্র ৫০ শতাংশ পূরণ করা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এরপর ৮ জানুয়ারি রাজ্যের সব সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ দর্শক হাজির থাকতে পারবেন বলে ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল দর্শক আসনের ১০০ শতাংশই পূরণ করা যাবে বলে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্সে হাজির থাকতে পারবেন ১০০ শতাংশ দর্শক। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে গতকাল এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে বেশ কিছু নির্দেশ মানতে হবে হল মালিক ও দর্শকদের। আজ সেই নির্দেশিকাগুলি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। নির্দেশিকা ঘোষণার পর মন্ত্রী বলেন, “এই সব বিষয়গুলি আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ছিল । কিন্তু, পরিস্থিতি জেরে এই স্বাভাবিক বিষয়গুলি আমাদের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে যায় । কিন্তু, সব কিছু আবার স্বাভাবিক হতে চলেছে। সেই কারণে এখন থেকে সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ দর্শক যেতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এটা সিনেমা প্রেমীদের কাছে খুবই খুশির খবর ।” নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে কোনও সিনেমা দেখানো যাবে না। হলের বাইরে থার্মাল স্ক্রিনিং ও দর্শকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ডিজিটাল পেমেন্টের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সিনেমা হলের মধ্যে ভিড় এড়াতে দুটি শোয়ের সময়ের মধ্যে বেশ কিছুটা পার্থক্য রাখার কথা বলা হয়েছে। স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এছাড়া এখন কাউন্টার থেকে খাবার কিনে তা হলের মধ্যে বসে দর্শকরা খেতে পারবেন বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।