চার ধাম সংযোগকারী সড়ক আরও চওড়া করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। গাছ কাটা পড়বে। ফলে আবারও বন্যায় ভাসবে উত্তরাখণ্ড। ধস নামবে। এই নিয়ে বারবার সরব পরিবেশবিদরা। কেন্দ্র এতে কান দিতে রাজি নয়। তারা সীমান্তগামী এই সড়ক ১০ মিটার পর্যন্ত চওড়া করতে চেয়ে আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্টে। জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে হেলিপ্যাড গড়ছে চীন। তাদের মোকাবিলায় এই সড়ক চওড়া করা দরকার।
গাঢ়োয়াল হিমালয়ে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রিনাথ— এই চার ধামের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে সড়কটি। দৈর্ঘ্য ৮৯৯ কিলোমিটার। সেই সড়কই দেরাদুনের কাছে ১০ মিটার পর্যন্ত চওড়া করতে চায় মোদি সরকার। শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়েছিল, এই সড়ক ৫ মিটারের বেশি চওড়া করা যাবে না। কেন্দ্র ফের আবেদন করেছে, এই সড়ক চওড়া না করলে চলবে না। আদলতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে চীন। তাই শিগগিরই এই রাস্তা দিয়ে রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। তাই নিরাপত্তার খাতিরে রাস্তা চওড়া করা দরকার। মামলাকারী প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেজের পাল্টা যুক্তি, সেনা কখনও বলেনি আমাদের চওড়া রাস্তা দরকার। রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে বসে থাকা কয়েক জন চার ধাম সড়কের সম্প্রসারণ দরকার। অ্যাটর্নি জেনারেল আবার এই দাবি উড়িয়ে বললেন, ‘১৯৬২ সালের অবস্থায় সেনাবাহিনী ফের পড়ুক, আমরা চাই না।’
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা আর পরিবেশ, দুইয়ের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা খুব দরকার। কেন্দ্র যদি বলত পর্যটনের জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ করছে, তাহলে বাধা দেওয়া যেত। কিন্তু দেশের নিরাপত্তা যখন বিষয়, তখন তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।


