দেশ

ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের টাকা উদ্ধারের তদন্তে যেতেই ৪ সিআইডি আধিকারিক-কে আটক করল দিল্লি পুলিশ

সিআইডিকে তদন্তে বাধা দিল দিল্লি পুলিশ। বুধবার সকালে তিন বিধায়কের গ্রেফতারের ঘটনায়  সিআইডি-র একটি দল দক্ষিণ দিল্লির সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান। সিআইডি সূত্রে খবর, অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে এই তিন কংগ্রেস বিধায়কের যোগসূত্র তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল সিদ্ধার্থর। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই সিআইডির তদন্তকারীরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। সিদ্ধার্থ মজুমদার হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ বলেই সিআইডি সূত্রে খবর৷ হাওড়ার পাঁচলায় ৩ কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। লালবাজার সংলগ্ন যেই আবাসনের এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বিপুল টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল সেই অফিসে গতকাল হানা দেয় সিআইডি। উদ্ধার হয়েছিল  ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ টাকা, ২৫০ টি রুপোর কয়েন, একাধিক নথি, চেক ও পাসপোর্ট। এই কাণ্ডে বিজেপি, হাওয়ালা যোগসূত্র পেয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। সিআইডির দাবি, ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ককে জেরা করে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলতেই এই টাকা! সেই তদন্তের কাজে দিল্লি গিয়েছিল সিআইডি কর্তারা। আর সেখানে তদন্তে বাধা দিল দিল্লি পুলিশ। করল আটক! এই ঘটনা টুইট করে সিআইডি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ সিআইডি কর্তাকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে সাউথ ক্যাম্পাস থানায়। জানা গিয়েছে আটকে রাখা হয়েছে সিআইডির ১ ইন্সপেক্টর, ২ এসআই এবং ১ এএসআইকে। সূত্রের খবর, এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিতেই তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার আশঙ্কা, এই ফাঁকে লোপাট করা হতে পারে যাবতীয় তথ্য। জট

কাটাতে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন সিআইডির ৩ শীর্ষ কর্তা। সেই দলে র‍য়েছেন ১ জন এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক, ২ জন আইজি। সিআইডি’র দাবি, নিয়ম মাফিক আগে স্থানীয় থানায় জানিয়েই অভিযান চালিয়েছিল সিআইডি। তবুও কাজে বাধা দেওয়া হল।  তবে দিল্লি পুলিশ দাবি করে যে তারা কোনও আধিকারিক বা সিআইডি অফিসারকে আটকাননি। দিল্লি পুলিশের দাবি, বাংলার তদন্তকারীদের সঙ্গে ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ছিলেন না। তাই তল্লাশি পরোয়ানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ড সরকার ফেলতেই দেওয়া হয়েছিল টাকার টোপ। হাওড়ার পাঁচলায় বিপুল টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং। অভিযোগের তির একেবারে অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে। ওই তিন বিধায়ক আটকের পরপরই এরকমই অভিযোগ। মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সময়ে গুয়াহাটিতে চলে গিয়েছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সেই সময়ে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল ঘোড়া কেনাবেচার মূল ডিলটি করছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানেও রয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম। অভিযোগ উঠছে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন হিমন্ত। এদিকে, এনিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনিই ২ দিন আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইশ বছর কংগ্রেস করার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করেছে।